Bikash Ranjan attacks Mamata: ‘৪০০ কোটি টাকা যদি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দিত…’, অনুদান নিয়ে কটাক্ষ বিকাশের

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Aug 23, 2023 | 12:05 AM

Bikash Ranjan attacks Mamata: পূজা কমিটি, পুরোহিত, ইমাম ভাতার খাতে খরচ করে অপচয় করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন বিকাশ।

Bikash Ranjan attacks Mamata: ৪০০ কোটি টাকা যদি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দিত..., অনুদান নিয়ে কটাক্ষ বিকাশের
মমতাকে কটাক্ষ বিকাশের
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: গত কয়েকদিন ধরে শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু র‌্যাগিং-এর অভিযোগ নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ সামনে এসেছে। এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দুর্গাপুজোর অনুদান ঘোষণা করায় কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)। বাম নেতা পুজোর অনুদানের কথা উল্লেখ না করলেও তিনি দাবি করেছেন, ৪০০ কোটি টাকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া হলে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন সম্ভব হত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপ্রয়োজনীয় খাতে টাকা খরচ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

সোমবার ইমাম-মোয়াজ্জেমের সমাবেশে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ইমাম ভাতা বাড়িয়ে দিয়েছেন ৫০০ টাকা করে। আর মঙ্গলবার তিনি ঘোষণা করেছেন, পুজো কমিটিগুলোর অনুদান ৬০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭০ হাজার টাকা করা হচ্ছে। হিসেব বলছে, প্রায় ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে ৭০ হাজার টাকা করে দেওয়া হলে খরচ হবে ৩০০ কোটি টাকারও বেশি।

মমতার ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে বিকাশ ভট্টাচার্য লিখেছেন, রাজ্য সরকার ৪০০ কোটি টাকা দিলে কেন্দ্রীয় সরকার হাজার কোটি টাকা দিত আর ওই টাকা দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পরিকাঠামো উন্নত করা যেত। তাঁর দাবি, ওই অনুদান পেলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউট অফ্ ‌এক্সলেন্স-এর মর্যাদা পেতে পারত। পূজা কমিটি, পুরোহিত, ইমাম ভাতার খাতে খরচ করে অপচয় করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

বিকাশের এই মন্তব্যে ঘাসফুল শিবিরের পাল্টা জবাব, যাদবপুরকে বদনাম করেছে বামেরাই। তৃণমূলের মুখপাত্র কোহিনুর মজুমদার বলেন, ইনস্টিটিউট অফ্ ‌এক্সলেন্স-এর মর্যাদা পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকগুলো বিষয়েই এগিয়ে রয়েছে যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। আর সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেন । তিনি আরও বলেন, “সিপিএম-এর সংগঠন যাদবপুরকে বদনাম করেছে। সিপিএম নীতি শূন্য হয়ে গিয়েছে।” অনুদান প্রসঙ্গে কোহিনুর দাবি, বিকাশ বাবুরা লিখে দিন তাঁরা ক্ষমতায় এলে ভাতা-অনুদান সব বন্ধ করে দেবেন, তাহলে বুঝব কত দম আছে। অন্যদিকে, অর্থনীতির অঙ্ক বুঝিয়ে তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য উল্লেখ করেন, পুজোয় অনুদান অনেক গুণ বেড়ে ফিরে আসে সরকারের ঘরে। বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ভোটে আগে আপনারা যেটা ভাতা-ভিক্ষা বলে উড়িয়ে দেন, ভোট এলে সেটাকেই গুরুত্ব দেন। মানুষ আপনাদের দ্বিচারিতা বুঝে গিয়েছে।

Next Article