AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Saokat Molla: ‘এত কীসের এমারজেন্সি? একজনকে মেরে দিয়ে MLA-কে বেরিয়ে যেতে হয়?’, শওকতের পাইলট কারের ধাক্কায় মৃত্যু ব্যক্তির, কান্নায় ভেঙে পড়ল পরিবার

Bhangar: জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম মহম্মদ তাজউদ্দিন। প্রতিদিনের মতো তিনি কাজের জন্য লেদার কম্পপ্লেক্সে যাচ্ছিলেন। সেই সময় পথেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি করা হয়।

Saokat Molla: 'এত কীসের এমারজেন্সি? একজনকে মেরে দিয়ে MLA-কে বেরিয়ে যেতে হয়?', শওকতের পাইলট কারের ধাক্কায় মৃত্যু ব্যক্তির, কান্নায় ভেঙে পড়ল পরিবার
বাঁদিকে তাজউদ্দিনের স্ত্রী, ডানদিকে শওকত মোল্লা Image Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 02, 2025 | 9:13 PM
Share

ভাঙড়: মঙ্গলবার সকালে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা কনভয় নিয়ে কলকাতায় আসছিলেন। সেই সময় কলকাতা পুলিশের পাইলট কারের অ্যাক্সেলেটর ভেঙে যায়। গাড়িটি সামনে থাকা একটি মোটর বাইকে ধাক্কা মারে। গুরুতর আহত অবস্থায় বাইক চালককে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। আজ সন্ধে নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।

জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম মহম্মদ তাজউদ্দিন। প্রতিদিনের মতো তিনি কাজের জন্য লেদার কম্পপ্লেক্সে যাচ্ছিলেন। সেই সময় পথেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম-এর ট্রমাকেয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয়  আজ বিকেল তিনটে নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। এ দিকে, এই খবর পাওয়ার পরই কার্যত ভেঙে পড়েছেন মৃতের পরিবারের সদস্য়রা। একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শওকত মোল্লার উপর।

মৃতের পরিবারের এক সদস্য বলেন, “আমরা তিনটে নাগাদ এই খবরটা পাই। শুনেছি ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে। ডাক্তার বলছে ব্রেনস্ট্রোক হয়। তারপরই মারা যায়। ” তিনি আরও বলেন, “হাসপাতালে ঢোকার আগেও কথা বলেছিল। তবে বাঁচানো যায়নি। ওর পরিবারে মা-স্ত্রী- দুটো ছোট-ছোট বাচ্চা আছে। একটা জলজ্যান্ত ছেলে ঘর থেকে বেরল। আর তিনটের মধ্যে শেষ হয়ে গেল। আমরা নিশ্চয়ই অভিযোগ করব। একমাত্র সম্বল শেষ হয়ে গেল।”

মৃতের স্ত্রী বলেন, “ওঁকে (শওকত মোল্লা) বলুন আমার স্বামীকে এনে দিতে। আমার ছোট বাচ্চা অপেক্ষা করবে ওর বাবার জন্য। উনি তো আস্তে গাড়ি চালান। হেলমেট ছাড়া গাড়ি চালান না।” মৃতের শ্যালিকা বলেন, “এত কীসের এমারজেন্সি ছিল যে বিধায়ককে মেরে দিয়ে বেরতে যেতে হল। আমরা ছাড়ব না। ওঁর তো আসা উচিত ছিল আমাদের কাছে। এই বাচ্চাগুলোর দায়িত্ব কে নেবে?”

উল্লেখ্য়,  ইলেকট্রিক পোস্টেও ধাক্কা মারে ওই গাড়িটি। তার পিছনেই ছিল বিধায়কের গাড়ি। অল্পের জন্য রক্ষা পায় বিধায়কের গাড়ি। চালক সজোরে ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে যায়। এই ঘটনায় মোটর বাইকটি সম্পূর্ণ ভেঙে যায়। পাইলট কারের সামনের অংশও পুরো ভেঙে গিয়েছে।