কলকাতা : রাজ্য মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে আগেই, এবার বিধানসভাতেও পাশ হয়ে গেল বিধানসভায়। সোমবার বিশেষ অধিবেশনে এই বিল পেশ করা হয়। ভোটাভুটিতে সেই বিল পাশ হয়ে গিয়েছে। প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন করে ভোট দিয়েছেন ১৮২ জন বিধায়ক, আপ বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪০ জন। বিল পাশ হওয়ার পর রাজ্যপাল সই করলে তবেই তা কার্যকর হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই, রাজ্যপালের সই-এর অপেক্ষা করতে হবে।
রাজ্যপালের বদলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সিদ্ধান্তে আগেই সিলমোহর দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি, সরকারি দফতরগুলির অধীনে যে সব বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, সেগুলির ক্ষেত্রেও যাতে মুখ্যমন্ত্রীকেই আচার্য পদে বসানো হয়, সেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিছুদিন আগেই প্রস্তাব পাশ হয়ে যায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে।
তবে, এই বিষয়ে তীব্র বিরোধিতা করেছে বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতিগুলো যাতে সামনে আসতে না পারে তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় রাজ্যপালকে সরিয়ে দিতে চাইছেন। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্য়ায় দাবি করেছিলেন, দুর্নীতি ঢাকতেই এই কাজ করা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, রাজ্যপাল আচার্য পদে থাকলে তিনি সব দেখতে পাবেন, এই অধিকার আছে তাঁর। সরকারে দুর্নীতির বিষয়গুলিও রাজ্যপাল সামনে আনতে পারবেন। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ দিকে, সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী কখনই আচার্য হতে পারবেন না। তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, বিজেপি বিধায়কেরা এই বিলের বিরোধিতা করবেন। শুধু তাই নয়, শুভেন্দু এও উল্লেখ করেছিলেন যে বিল পাশ হয়ে গেলেও, রাজ্যপাল ওই বিল পাঠাবেন দিল্লিতে। সেখানেই দিনের পর দিন বিল পড়ে থাকবে। ফলে, কোনওদিনই মুখ্যমন্ত্রীর আচার্য হওয়া হবে না।
তবে এদিনের ভোটাভুটি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ৫৭ জন বিধায়ক বিলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু স্পিকার ঘোষণা করেছেন ৪০ জন। এখানেও ছাপ্পা হল বলে মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু। এই ইস্যু নিয়েও আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু।