কলকাতা: বিরিয়ানির প্রতি বঙ্গবাসীর প্রেম নতুন কিছু নয়। আর এই বিরিয়ানির প্রেমেই যেন ডেঙ্গি আজ জাগ্রত দ্বারে! স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, চলতি বছরে ডেঙ্গির জীবাণু বহনকারী এডিস ইজিপ্টাই মশার লার্ভার সবথেকে বেশি সন্ধান মিলেছে প্লাস্টিক কন্টেনার থেকেই। আর এসবের মধ্যে সিংহভাগই বিরিয়ানি, চিকেন চাপ কিংবা অন্য কোনও খাবারের হোম ডেলিভারিতে ব্যবহার করা কন্টেনার। অনেক ক্ষেত্রেই অসচেতন নাগরিকদের পাল্লায় পড়ে সেই সব কন্টেনার পড়ে থাকছে কোনও ফাঁকা, পরিত্যক্ত জায়গায়। আর সেখানেই নিশ্চিন্তে, নিরাপদে বংশ বিস্তার করে চলছে এডিস মশা।
যে ডেঙ্গি গোড়ার দিকে শুধুমাত্র শহরাঞ্চলের উদ্বেগের কারণ ছিল, তা এখন গ্রাম বাংলাতেও মাথাব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেও ডেঙ্গি জ্বরে কাঁপছে গ্রাম বাংলা। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রবিবার ছুটির দিনে স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব।
অসমর্থিত সূত্রে খবর, সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মিলিয়ে এই মরশুমে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ২৭ হাজারেরও বেশি। তার মধ্যে সরকারি ক্ষেত্রে হিসেবটা ২২ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে গ্রামাঞ্চলে প্রায় ১৫ হাজার এবং শহরাঞ্চলে ৭ হাজারের কিছু বেশি। সবথেকে বেশি চিন্তা রয়েছে পাঁচটি জেলা নিয়ে। আক্রান্তের সংখ্যা জেলাগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি উত্তর ২৪ পরগনায়। পাঁচ হাজারেরও বেশি। এর পাশাপাশি নদিয়া ও মুর্শিদাবাদেও তিন হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ডেঙ্গিতে। হাওড়া ও হুগলি জেলার পরিস্থিতিও চিন্তায় রাখছে স্বাস্থ্য দফতরকে।
একাধিক জেলা যখন চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে, তখন রাজ্যে স্বাস্থ্য ভবনের নথি বলছে কলকাতা পুরনিগম এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ১০৭ জন।