কলকাতা: সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে নালিশ জানাল বিজেপি। অভিযোগ, গুরুতর অসুস্থ না হয়েও এসএসকেএম হাসপাতালে শয্যা দখল করে রয়েছেন তিনি। মামলার সব পক্ষকে নোটিস দিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। আইনজীবী নীলাদ্রি সাহা মঙ্গলবার এ নিয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। প্রধান বিচারপতি জানান, বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হবে।
গত কয়েক মাস ধরে টানা এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি কালীঘাটের কাকু। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। একটি অডিয়ো ইতিমধ্যেই ইডির হাতে এসেছে। অডিয়োর কণ্ঠ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কি না তা জানতে চায় ইডি। কিন্তু কোনওভাবেই তা আর হয়ে উঠছে না। ইডির দাবি, যখনই কাকুর কণ্ঠের নমুনা পরীক্ষার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, হয় এসএসকেএম থেকে কোনও জটিলতা তৈরি হচ্ছে কিংবা কাকু নিজে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিষয়টি আদালতেও জানিয়েছে তারা।
এদিকে প্রথম থেকেই বিজেপি কাকুর অসুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এতদিন ধরে তিনি ঠিক কোন অসুখে ভুগছেন, তা জানতে চান সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষরা। ইতিমধ্যেই কাকুর স্বরবদলের চেষ্টার একটা অভিযোগও এসেছে বিরোধী শিবিরগুলির তরফে।
আগেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, কালীঘাটের কাকুর ভোকাল কর্ডে একটা অস্ত্রোপচার হয়েছে বলে শুনছি। গলার স্বর বদলের চেষ্টা চলছে। তাই এসএসকেএমে রাখা হয়েছে তাঁকে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও বলেছিলেন, “এসএসকেএম হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থায় চিকিৎসার নাম করে তাঁর গলার স্বর পাল্টানো হচ্ছে।”
এর আগে ইডি আদালতে কাকুর অসুস্থতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়ার আগের দিনই কাকুকে এসএসকেএম আইসিইউয়ে শিফট করে দেয় বলে অভিযোগ জানায় ইডি। তারা বলে, ‘অসুস্থতা বানানো গল্প। উনি সুস্থ আছেন।’ এবার এই বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল বিজেপি।