One Nation, One Vote: ‘এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে বাংলায় জনমত তৈরির কাজ শুরু বিজেপির, রবিতে সভা কলকাতায়, সোমবার শিলিগুড়িতে বনশাল
One Nation, One Vote: সোমবারই আবার শিলিগুড়িতে দলের বৈঠকে যোগ দিতে চলেছেন বনশাল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ছাব্বিশের প্রস্তুতিতে কোনও খামতিই রাখতে ছাইছে না পদ্ম ব্রিগেড। তাই এখন থেকেই পুরোদমে সলতে পাকানোর কাজটা নিজের হাতেই শুরু করে দিতে চাইছেন কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা।

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ ও প্রসেনজিৎ চৌধুরীর রিপোর্ট
কলকাতা ও শিলিগুড়ি: ‘এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে এ রাজ্যেও জনমত তৈরির কাজ শুরু হল। সূত্রের খবর, সুনীল বনশালের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, যে যে পঞ্চায়েতে এবং ওয়ার্ডে বিজেপির নিজস্ব জনপ্রতিনিধি রয়েছে সেখানে টিম তৈরি করে এক দেশ এক ভোটের প্রচারে নামতে হবে। ইতিমধ্যেই যা শুরু হয়েছে। দিন কয়েক আগে এই রাজ্যে প্রথম সম্মেলন করে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন প্রসাদ হাওড়ায়।
২৩ ফেব্রুয়ারি ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে একটি সম্মেলন করছেন সুনীল বনশাল। তবে সেগুলি সরাসরি রাজনৈতিক ব্যানারে না করে মূলত বিজেপি প্রভাবিত নানা সংগঠনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এক দেশ এক ভোট কতটা জরুরি তা মানুষকে বোঝাতে চাইছে বিজেপি। তার জন্য জন আন্দোলনের প্রয়োজনীতা রয়েছে। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই এবার জন আন্দোলন করতে চায় বিজেপি। সেভাবেই জনমত গঠন করতে চাইছেন পদ্ম শিবিরের নেতারা। সেই লক্ষ্যে পরিকল্পনা শুরু বিজেপির। গোটা দেশের বাছাই করা নেতৃত্বকে নিয়ে গত সোমবার বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনশালরা। সোমবার দলের কেন্দ্রীয় দফতর ৬ দীনদয়াল উপাধ্যায় মর্গে এই পরিকল্পনা বৈঠক করেন বিজেপি নেতৃত্ব। তারপরেই একেবারে মাঠে নেমে শুরু কাজ।
সোমবারই আবার শিলিগুড়িতে দলের বৈঠকে যোগ দিতে চলেছেন বনশাল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ছাব্বিশের প্রস্তুতিতে কোনও খামতিই রাখতে ছাইছে না পদ্ম ব্রিগেড। তাই এখন থেকেই পুরোদমে সলতে পাকানোর কাজটা নিজের হাতেই শুরু করে দিতে চাইছেন কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বাজেটের পর ‘বাজেট টক’ শীর্ষক এক সভাকে সামনে রেখেই শিলিগুড়ি আসছেন সুনীল বনষাল। দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হবে ওই বৈঠকে।
যদিও খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, “উত্তরবঙ্গে এবার খারাপ ফল গবে বিজেপির। গত কয়েকটি উপনির্বাচনে উত্তরবঙ্গেই হেরেছে ওরা। এখন এখানেও ঘাসফুল ফুটছে। আলাদা রাজ্য বা ধর্মের জিগির তুলে ভোট পাবে না ওরা। বনসল আসতেই পারেন। কিন্তু লাভ হবে না।” যদিও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের দাবি, “ছাব্বিশের নির্বাচনে বাংলায় সরকার বদল হবে। আমরা তাঁর প্রস্তুতি নিচ্ছি।”





