কলকাতা : বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্যে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। সম্প্রতি সিবিআই-এর তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দিলীপ ঘোষ। দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতির এমন বেফাঁস মন্তব্য দলের অন্দরেই একাংশের মধ্যে বেশ অস্বস্তি তৈরি করেছিল। এবার দিলীপ ঘোষ কেন এমন বলছেন, তা জানতে চাইল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই সংক্রান্ত বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে। যদিও দিলীপ ঘোষ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই সংক্রান্ত কোনও রিপোর্টের কথা অস্বীকার করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছিল পদ্ম শিবিরের দিল্লি নেতৃত্ব। ফের একবার দিলীপ ঘোষের মন্তব্য সংক্রান্ত বিষয়ে রিপোর্ট তলব করল বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, সিবিআই নিয়ে দিলীপ ঘোষে যে মন্তব্য করেছেন, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য নেতৃত্বের থেকে একটি রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়ে একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষ সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সামনে যে মন্তব্য করেছিলেন, সেই সব ভিডিয়ো ক্লিপও দিল্লিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “গত কয়েক মাস ধরে এখানে সিবিআই তদন্ত চলছে। কিন্তু, কেউ ধরা পড়ছিল না। কোনও এফেক্ট পড়ছিল না, কোনও ডকুমেন্ট আসছিল না! এর কারণ কী? সর্ষের মধ্যে ভূত ছিল। খবর আছে, এটা জানার পরেই কিছু অফিসারকে পরিবর্তনও করা হয়েছে। যথারীতি যা হয় আর কী, সবাই বিক্রি হয়। তার দাম থাকে। কেউ লক্ষে হয়, কেউ কোটিতে। সে ভাবে বিক্রি হচ্ছিল। এটা সরকার বুঝতে পেরেছে। আমি যতদূর শুনেছি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বিশেষ প্রয়াসে শেষে ইডি এসেছে। তারপর কাজ শুরু হয়েছে।”
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, “দিলীপদা কোথা থেকে বললেন আমাদের জানা নেই। কেন্দ্রীয় এজেন্সি কীভাবে কাজ করে সেটা কোনও রাজনৈতিক নেতার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। আমার পক্ষেও জানা সম্ভব নয়। যদি কেউ মন্ত্রী হন তা হলেই তাঁর পক্ষে তা জানা সম্ভব। আমাদের এই বিষয়ে কোনও ইনফরমেশন নেই। তবে তারা নিরপেক্ষ সংস্থা, নিরপেক্ষভাবেই কাজ করে। তারা কাজ করছে।”