কলকাতা: কোর কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে এসে বিস্ফোরক রানাঘাটের বিজেপি (BJP) বিধায়ক জগন্নাথ সরকার। একুশের লড়াইয়ে লড়াকু নেতার অভাব ছিল, এমনই আত্ম সমালোচনা শোনা গেল তাঁর গলায়। জগন্নাথ সরকার বলেন, “নির্বাচনে লড়াকু নেতার অভাব ছিল। কিছুটা কারচুপি আর সাংগঠনিক দুর্বলতা ছিল। তাই এই পরাজয়।” তবে এবার যে কোমর বেঁধে ময়দানে নামবে বিজেপি সে ইঙ্গিতও দিলেন তাঁর বক্তব্যে।
একদিকে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ পর্ব সমাপ্ত হল। অন্যদিকে বিজেপির হেস্টিংস কার্যালয়েও বিরোধী দলনেতা বাছতে চলছে কোর কমিটির বৈঠক। সোমবারই বিরোধী দলনেতা ও বিজেপির মুখ্য সচেতকের নাম জানানো হতে পারে। বৈঠকে যোগ দিতে রাজ্যে এসেছেন রবিশঙ্কর প্রসাদ ও ভূপেন্দ্র যাদব। সকাল সাড়ে ১০টা এই কোর কমিটির বৈঠক শুরু হয়। তা শেষ হওয়ার পর বেলাা ১২টা নাগাদ হেস্টিংস কার্যালয়েই বৈঠক হবে বিরোধী দলের নেতা ও বিধানসভার মুখ্যসচেতক মনোনয়ন নিয়ে।
এখনও অবধি যা খবর, তাতে বিরোধী দলনেতা হিসাবে এগিয়ে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আগে অবশ্য শোনা গিয়েছিল মুকুল রায়ের নামও। কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে তাঁর জয় নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। তবে এদিন বৈঠকে যোগ দিতে এসে মুকুল নিজেই সে জল্পনায় জল ঢালেন। বলেন, তাঁর বয়স হয়ে গিয়েছে। তাই এ সমস্ত দায়িত্ব অন্য কেউই সামলাবেন। অন্যদিকে বিধানসভার মুখ্য সচেতক হিসাবে নাম উঠে আসছে উত্তরবঙ্গের বিধায়ক মনোজ টিগ্গার নাম।
আরও পড়ুন: বল্গাহীন সংক্রমণে কমছে যাত্রীসংখ্যা, রাশ পরানো হচ্ছে বিমানের ওঠানামায়
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, এমন লোককেই তাঁরা বিরোধী দলনেতা বাছবেন যাঁর লড়াকু মনোভাব দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। একই কথা জগন্নাথ সরকারেরও। তিনি বলেন, “কে তৃণমূল থেকে এল, কে অন্য দল থেকে এল সেটা বড় কথা নয়। মানুষটা কেমন, কতটা দুর্নীতি করেছে, আগে বিজেপির উপর কত অত্যাচার করেছে এগুলিই বিচার্য হবে।” অর্থাৎ দলের সমস্ত নেতাকে এক ছাতার তলার এনে নির্বিবাদে যিনি কাজ করতে পারবেন, তেমনই একজন মুখ করতে চাইছে তারা।