কলকাতা: বঙ্গ বিজেপির বর্তমান অবস্থা নিয়ে বলতে গিয়ে লখনউয়ের উর্দু কবি কৃষ্ণবিহারী নুর-এর কবিতার পংক্তি উঠে এল তৃণমূল বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়র মুখে। আজ মঙ্গলবার, এক পুরোনো মামলার বিষয়ে বিধাননগর এমপি-এমএলএ কোর্টে হাজিরা দিতে এসেছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে জাতীয় মহাসড়কের উপর পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে দুটি এফআইআর করা হয়েছিল শক্তিগড় থানায়। সেই সময় তিনি ছিলেন বিজেপি-তে। দুটি মামলাতেই ১০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেলেন তিনি। তারপর, নিজের পুরোনো দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন এই দলবদলু নেতা।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই, বিজেপি থেকে সাংসদ-বিধায়ক-নেতাদের তৃণমূলে পাড়ি দেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত। সম্প্রতি, একই ধরনের জল্পনা তৈরি হয়েছে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-কে নিয়েও। আপাতত, বিজেপির শীর্ষনেতাদের কাছে নিজের অভাব-অভিযোগ জানাতে নয়াদিল্লিতে আছেন অর্জুন। সোমবারই তিনি জানিয়েছেন, এক পক্ষকালের মধ্যেই তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যত স্পষ্ট হবে।
এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বাবুল বলেন, ‘অর্জুন হচ্ছে পাণ্ডব ও কৌরবদের মধ্যে একমাত্র ব্যক্তি, যাঁর চোখ ছিল পাখির চোখের দিকে। অর্জুন সিং কী ভাবছেন, তাই নিয়ে আমার কোনও মন্তব্য করার প্রয়োজন নেই। উনি অনেকদিনের রাজনীতিবিদ। উনি কী ভাবছেন, কী করতে চলেছেন, তা আমি টিভি দেখে জানব’।
এরপরই নিজের পুরোনো দলকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন দলবদলু বাবুল সুপ্রিয়ো। তিনি বলেন, ‘বিজেপি দলটা এখন ডিসইন্টিগ্রেটেড। নিজেদের মধ্যে এতগুলো ফ্যাকসনে ভেঙে গিয়েছে…আমাদের কৃষ্ণবিহারী নূর সাহেবের একটা লাইন আছে, ‘কিতনে হিস্সোমে বাট গায়ে হাম, কি মেরে হিস্সোমে কুছ বাঁচাহি নেহি’। বিজেপির এটাই হালত’।
শুধু বঙ্গ বিজেপির অবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করাই নয়, এদিন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও নিশানা করতে ছাড়েননি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বদল নিয়ে বাবুল সুপ্রিয়ো বলেন, ‘যে কোনও বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারেরই তিনটি পা থাকে। আর চতুর্থ পা-এর সাপোর্ট দেয় দিল্লির নেতারা। তারা সেই পা সরিয়ে নিলেই বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের চেয়ার পড়ে যায়।’