কলকাতা: হাতে আর একমাসও সময় নেই। তারপরই পুজো। কিন্তু সেই পুজোতেও ছুটি নেই বিজেপি-র। তিলোত্তমার ঘটনা নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখবে তাঁরা। ইতিমধ্যেই তিন পর্যায়ে ২৪ দিনের ধরনা শেষ হয়েছে। কিন্তু তিলোত্তমার ঘটনার সুবিচার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখবে গেরুয়া শিবির।
আর সেই পর্বের আন্দোলন আজ। বুধবার থেকে শুরু করছেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। ‘ওপেনিং ব্যাটসম্যান’ হিসেবে বুধবার থাকছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
দমদমে মহামিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা সুকান্ত মজুমদারের। আর কাঁথিতে নেতৃত্ব দেবেন শুভেন্দু অধিকারীর। আজ থেকে শুরু হয়ে এই কর্মসূচি শেষ হবে মহালয়ার আগের দিন। অর্থাৎ ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত পুর এলাকায় প্রতিটি ওয়ার্ডে এবং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দু’তিনটি করে পথসভা করবেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
২৩ সেপ্টেম্বর ঝাঁটা এবং গঙ্গাজল নিয়ে থানা সাফাই অভিযান করবে মহিলা মোর্চা। ওই দিন কলকাতা এবং লাগোয়া জেলা গুলোর বিভিন্ন রেল স্টেশনে সভা করবেন বিজেপি নেতৃত্ব। ২৫ সেপ্টেম্বর ‘হাজরা চলো কর্মসূচি’ রয়েছে বিজেপির। যেহেতু এখন কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় পরিচালনা হয়। সে কারণেই হাজরা চলোর ডাক বিজেপির। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত এই পর্বে সই সংগ্রহ করবেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।
পাশাপাশি পুজোর সময় অন্য বছরের তুলনায় এবার বুক স্টলের সংখ্যাও বাড়াতে চায় বিজেপি। সেখানেও নিজেদের দাবিতে সই সংগ্রহ করতে হবে বিজেপি নেতা কর্মীদের, তেমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুজো পর্বে বুক স্টলে সই সংগ্রহ করতে দেখা যাওয়ার কথা সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহাদের।তিলোত্তমার হত্যার সুবিচার আর মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে এক কোটি সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে বিজেপি। সেই সব সই রাজভবনে মাথায় করে নিয়ে যাবেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা। আর দাবি করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের পদত্যাগের।