কলকাতা: অর্জুনের ঘরওয়াপসি নিয়ে রবিবার দিনভর তোলপাড় বঙ্গের রাজনীতি। তবে, অর্জুন সিং যে তৃণমূলে (Trinamool Congress) ফিরছেন তার ইঙ্গিত বিগত কয়েকদিন ধরেই পাওয়া যাচ্ছিল। এমনকী শনিবারই অর্জুনের (Arjun Singh) তৃণমূলে যোগদানের খবর প্রথম সামনে আনে টিভি-৯ বাংলা (TV-9 Bangla)। তারপর তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে যায় জোরদার চাপান-উতর। অবশেষে রবিবারই সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফের তৃণমূলের (TMC) ঝাণ্ডা ধরলেন অর্জুন। এদিকে অর্জুন প্রত্য়াবর্তনে স্বভাবতই অস্বস্তি বেড়েছে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। গতকালই শুভেন্দু অধিকারী জানান তাঁর সঙ্গে কথা হলেও তৃণমূলে যোগদানের ব্যাপারে নাকি বিশেষ কিছুই বলেলনি অর্জুন। কিন্তু তার পোহাতেই জ্যাকেট বদলে ঘাসফুল শিবিরে ভিড়তে দেখা গেল অর্জুনকে।
অর্জুনের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিজেপির সর্ব-ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “যা মায়া ছিল সব কেটে গিয়েছে। তাই আসা-যাওয়া পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির একটা অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। কেউ তাড়াতাড়ি এসে তাড়াতাড়ি চলে গিয়েছেন। কেউ একটু দেরি করেছেন। এর আগেও কয়েকজন চলে গিয়েছিলেন। তাঁদের উপর যে ধরনের প্রশাসনিক চাপ তৈরি হয়েছে, অত্যাচার হয়েছে, তা তাঁরা সহ্য করতে পারেননি। যাঁরা ক্ষমতার সঙ্গে থেকেছেন, পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করেছেন তাঁদের পক্ষে পুলিশের বিরুদ্ধে রাজনীতি করা খুব কঠিন বলে আমাদের মনে হয়। তার জন্য দু’শোর বেশি কর্মীকে হারাতে হয়েছে আমাদের। অর্জুন সিং বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তার উপর অত্যাচার হয়েছে। কেস হয়েছে। প্রশাসনিক চাপ ও অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাধ্য হয়ে তিনি আত্মসমর্পন করেছেন তৃণমূলের কাছে”।
এদিকে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাংলায় পাট শিল্পের দুরাবস্থা নিয়ে সরব হয়েছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। তোপ দেগেছিলেন সরাসরি কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এমনকী সম্প্রতি তিনি এও বলেছেন বাংলায় এই শিল্পের হাল ফেরাতে মমতাই বিকল্প। এই প্রসঙ্গে দিলীপের জবাব, “তৃণমূলে গেলে পাট শিল্প বাঁচবে? তৃণমূল দলটাই বাঁচবে কিনা তার ঠিক নেই। তারা আবার পাট শিল্প কী করে বাঁচাবেন। যদি তাই বাঁচাতে পারতেন, তাহলে নেত্রীকে ছেড়ে এসেছিলেন কেন”?