Soumitra taunts Anubrata: ‘কালীঘাটে মা কালীর শরণাপন্ন হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে’, অনুব্রতকে ‘পরামর্শ’ সৌমিত্রর

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Jun 03, 2022 | 11:11 PM

Anubrata Mandal: অনুব্রতকে খোঁচা দিয়ে বললেন, "ভোলে বাবা পার করেগা। উনি নিশ্চয়ই ভোলে বাবার শরণ নিলে অনেকটা ভাল হবেন। কারণ, ওনার কোম্পানি হল ভোলে বাবা।"

Soumitra taunts Anubrata: কালীঘাটে মা কালীর শরণাপন্ন হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে, অনুব্রতকে পরামর্শ সৌমিত্রর
অনুব্রত মণ্ডলকে খোঁচা সৌমিত্রর

Follow Us

কলকাতা : অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। রাজনীতির কারবারিরা বলেন, বীরভূমের রাজনীতিতে বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খায় তাঁর দাপটে। এ হেন অনুব্রত মণ্ডলকে এখন বার বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা ডেকে পাঠাচ্ছেন। এদিকে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, অনুব্রত বাবু কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে সম্পত্তির যে হিসেব দিয়েছেন, তাতে বেশ কিছু সম্পত্তি ‘ভোলে বাবা’র নামে রয়েছে। আর এই নিয়েই এবার বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে বক্রোক্তি করলেন বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ। অনুব্রতকে খোঁচা দিয়ে বললেন, “ভোলে বাবা পার করেগা। উনি নিশ্চয়ই ভোলে বাবার শরণ নিলে অনেকটা ভাল হবেন। কারণ, ওনার কোম্পানি হল ভোলে বাবা।”

শুধুমাত্র অনুব্রত মণ্ডলকে ‘ভোলে বাবা’ ইস্যুতে খোঁচা দিয়েই ছাড়েননি সৌমিত্র খাঁ। সেই সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “ভোলে বাবাকে যখন শরণ নেবেন, তখন মা কালীকে শরণ নেওয়া খুব দরকার। কালীঘাটে গেলে, শরণ নিলে, শরীরটা একমাত্র ঠিক থাকবে। এটাও দেখতে হবে, কাজের সময় কাজি, কাজ ফুরালে পাজি। আমরা দেখছিলাম এর আগে মুকুল বাবুকে। অনুব্রত বাবু কি সেই ব্ল্যাক লিস্টের দিকে যাচ্ছেন? কালীঘাটে আর মা কালীর শরণ পাচ্ছেন না? মানে, দিদিভাইয়ের শরণ আর পাচ্ছেন না? তাই উডবার্নে যাচ্ছেন। উনি কালীঘাটের শরণ নিন। ভোলে বাবার শরণ নিয়ে অনেক কোম্পানি খুলেছেন, আবার কালীঘাটে গিয়ে মা কালীর শরণ নিলেই আবার সবকিছু হবে। ব্ল্যাক লিস্ট হয়ে গিয়েছেন, এটা খুব নজর দেওয়ার বিষয়।”

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে একাধিকবার সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েছে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। মাঝে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে বেশ কিছুদিন এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন তিনি। ছাড়া পাওয়ার পর অনেকদিন বাড়িতে বিশ্রামে ছিলেন অনুব্রত। তারপর আবারও সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে। বৃহস্পতিবারও তিনি সিবিআই অফিসে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রায় ঘণ্টা পাঁচেক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের টানা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ে কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপর শুক্রবার দুপুরে চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে তিনি সোজা চলে যান এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ড। যদিও তাঁর এসএসকেএমে যাওয়ার পরিকল্পনা পূর্ব নির্ধারিত। রুটিন চেক আপের জন্যই হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি।

Next Article