কলকাতা: নিয়োগ কেলেঙ্কারি থেকে গরু পাচার মামলা (Cow sumggling case), একাধিক কেলেঙ্কারিতে নাম নাম জড়িয়েছে শাসক তৃণমূলের (Trinamool Congress) নেতা-মন্ত্রীদের। যা নিয়ে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দেগে চলেছেন রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল বিজেপির (BJP) নেতারা। তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে বাম-কংগ্রেসের (CPIM Congress) নেতাদেরও। তবে এরইমধ্যে এবার বাংলার স্বার্থে রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে সকল রাজনৈতিক দলকে একজোট হওয়ার ডাক দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
মঙ্গলবার রাতে একটি ফেসবুক পোস্ট করতে দেখা যায় সুকান্তকে। পোস্টের একদম শেষের প্যারায় সুকান্ত লেখেন, “সময় এসেছে বিজেপি,তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস ভেদাভেদকে দূরে সরিয়ে রেখে বাংলার স্বার্থে ১০ কোটি বাঙালির স্বার্থে সকল শ্রেণীর সকল স্তরের মানুষকে একত্রিত হয়ে ভয়ের গ্যাস চেম্বার থেকে বেড়িয়ে এসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভুল নীতি,খামখেয়ালিপনা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা এবং সরকারকে আয়না দেখানো। আজ না করতে পারলে ভবিষ্যতের কাছে আমাদের জবাব দেওয়ার মত কোনও উত্তর থাকবে না।” তাঁর এই পোস্ট নিয়েই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। এদিকে বছর ঘুরতেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে রাজনৈতিক বৈরিতা ভুলে সুকান্তর এই একজোট হওয়ার ডাক বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
এদিকে দুর্গাপুজোয় আগে রাজ্য সরকারের তরফে ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়া হত ৫০ হাজার টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর নতুন ঘোষণায় তা এবার থেকে বেড়ে হয়ে যাচ্ছে ৬০ হাজার টাকা। এই অনুদান নিয়েও ফেসবুক পোস্টে তোপ দাগতে দেখা যায় সুকান্তকে। ফেসবুকে সুকান্ত লেখেন, “এখন পুজোর জন্য ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬০ হাজার টাকা সাথে ৬০% বিদ্যুতের বিল মুকুব। ৪৩০০০ হাজার ক্লাবকে ৬০০০০ করে অনুদান মোট ২৫৮ কোটি টাকা খরচ সঙ্গে বিদ্যুতের বিল মুকুব মিলিয়ে মোট প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ কোটির খরচ। অন্যদিকে বিদ্যুত দফতরের কোটি কোটি টাকা পূর্বের বকেয়া,স্বাস্থ্যে বকেয়া, শিক্ষায় বকেয়া, পরিকাঠামোগত দিকে বকেয়া, বেতনে বকেয়া, ডিএ তে বকেয়া, পেনশনে বকেয়া। ক্লাবে অনুদান সরকার দিক এতে আপত্তি নেই। সরকার সামর্থ হলে দিক ক্ষতি নেই । কিন্তু একটা সরকারের মৌলিক যে দায়িত্ব গুলো রয়েছে সেগুলো সামলে নিয়ে যদি খয়রাতি করত তাতে আপত্তির কিছু থাকত না, কিন্তু বাস্তবে যা দেখা যাবে তা হলো ৬০০০০ টাকার পুজো মন্ডপে মন্ডপে মা দুর্গার আগে মমতা বন্দনা, এটা আপত্তিকর। এই প্রচার আর ব্যানারে জন্য সরকারের দিনের পর দিন ঋণের বোঝা বাড়ছে।”