কলকাতা: দমদমে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারত মাতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের তরফে। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা, বিমল শঙ্কর নন্দ, বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলি সংগঠনিক জেলার সভাপতি অরিজিৎ বক্সি সহ বিজেপি নেতৃত্ব। এ দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে একাধিক ইস্যুতে মুখ খোলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “বাংলা জাতীয়তাবাদ থেকে সরে এসেছে বামপন্থীদের জন্য। বামপন্থীরা বাংলাকে জাতীয়তাবাদ থেকে সরিয়ে আনার পাশাপাশি বাংলার জিডিপিও কমিয়ে দিয়েছে। তাই বাংলাকে আবার জাতীয়তাবাদের ফিরে আসতে হলে ভারত মাতার নামেই ফিরে আসতে হবে।”
২০২৪ সালে সিএএ চালু নিয়ে বিরোধীদের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “বিরোধিতা করতেই পারে তবে সিএএ কার্যকর হবেই। গৃহমন্ত্রীর প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। নাগরিক কে হবে না হবে সেটা কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করবে সংবিধানে তেমনটাই বলা আছে। স্বাভাবিকভাবেই কাকে কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব দেবে না দেবে সেই বিষয়ে আইনের বিরোধিতা করার অধিকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেই। যে সমস্ত হিন্দু উদ্বাস্তুরা বাংলাদেশ থেকে এসে এখানে বসবাস করছে ২০২৪ এর আগে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আমার পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে গৃহমন্ত্রী উপর। নাগরিক হয়ে তারা এই বাংলাতেই থাকবে।”
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ঘটনা প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন সুকান্ত। বলেন,”কোন তথ্য সামনে আসবে না। কারণ সিসিটিভি নেই। পুলিশকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। একসময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্তা করা হয়েছিল। রাজ্যপালকেও হেনস্তা করা হয় ওখানে। লাল দুর্গ বানিয়ে রাখা হয়েছে। ওখানে বহিরাগতির আনাগোনা হয় ওখানে সমস্ত রকম নেশার কার্যকলাপ চলে বহিরাগত রায় এইসব করছে।”