Tathagata Roy and Dilip Ghosh: ‘পারলে দল থেকে বের করে দিন’, তাঁর উদ্দেশে তথাগতের চ্যালেঞ্জে কী বললেন দিলীপ?
Dilip Ghosh and Tathagata Roy: "ঠাকুর রামকৃষ্ণ ও রবীন্দ্রনাথকে যা বলা হয়েছে, তাতে আমি এত আঘাত পেয়েছি যে, এ বিষয়ে বলতে রাজি নই। কার কী ভূমিকা আছে সে তো সাধারণ মানুষের সামনে আছে।''
কলকাতা: বঙ্গ-বিজেপি-তে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সবচেয়ে বড় বিরোধী কে? এই প্রশ্নের উত্তরে অন্য নামের সঙ্গে উঠে আসবে তথাগত রায়ের (Tathagata Roy) নাম। দু’জনেই সামলেছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতির পদ। তবে বারংবার দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন তথাগত। আবার তথাগত রায়কে উদ্দেশ্য করে তির্যক মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষও। তাঁকে দল ছাড়ার নিদান দিয়েছেন। Tv9 বাংলার ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে আলাদা ভাবে হাজির হয়েছিলেন দুই বিজেপি নেতা-ই। সেখানে একে অন্যকে উদ্দেশ্য করে কী বললেন তাঁরা।
রাজ্য সভাপতির পদ থেকে দিলীপ ঘোষকে সরানোকে ‘সময়োচিত পদক্ষেপ’ বলে জানিয়েছিলেন তথাগত। সেই বিজেপি নেতা টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে দিলীপ ঘোষ সম্পর্কে বললেন, ওঁনাকে নিয়ে কথাই বলতে চান না। কারণ উনি রবীন্দ্রনাথ ও রামকৃষ্ণকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেছেন। তাঁর কথায়, “রাজ্য বিজেপিতে যে নতুন সভাপতি এসেছেন (সুকান্ত মজুমদার) তিনি আলাদা। ওঁর মানসিক গঠন আলাদা। উচ্চশিক্ষিত মানুষ।” তাঁর খোঁচা, ‘শিক্ষা-দীক্ষার তো একটা দাম আছে, অস্বীকার করার উপায় নেই।’
আবার টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিলীপ জানালেন, নিজের অবস্থানে তিনি অনড়। তাঁর কথায়, “যাঁরা স্কুল-কলেজ পাশ করতে পারেনি ইউনিভার্সিটিতে তাঁদের বই পড়ানো হয়। এমন উদাহরণ অনেক আছে। যাঁরা কটা ডিগ্রি নিয়ে বড় বড় ডায়লগ মারে তাঁদের জন্য বলেছি। আমি বলেছি, তোমার কন্ট্রিবিউশন কী আছে? মানুষকে তুমি কী দিয়েছ?”
তথাগত রায় এদিন সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী কে দরাজ সার্টিফিকেট দেন । কিন্তু দিলীপ ঘোষ সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, “ঠাকুর রামকৃষ্ণ ও রবীন্দ্রনাথকে যা বলা হয়েছে, তাতে আমি এত আঘাত পেয়েছি যে, এ বিষয়ে বলতে রাজি নই। কার কী ভূমিকা আছে সে তো সাধারণ মানুষের সামনে আছে।”
উনিশের লোকসভা ভোটে বাংলায় ১৮ টা আসন পাওয়া দিলীপ ঘোষ বলেছেন, তিনি বুক চিতিয়ে রাজনীতি করেন। এ নিয়ে তথাগতের কটাক্ষ, “উনি বুকের উপর পা দিয়ে রাজনীতি করেছেন, উনি এটাও বলেছেন”। আবার দিলীপ ঘোষ তাঁকে দলত্যাগ করার পরামর্শ দেওয়া প্রসঙ্গে তথাগতের পাল্টা মন্তব্য, “পারেন তো দল থেকে বার করে দিন। আমি দল থেকে বেরব না। দল যদি বার করে দেয় সেটা আলাদা কথা। কিন্তু আমার মনে হয় না সেটা করবে।” তিনি যোগ করেন, “হয়ত কোনও পদ পাব না। কিন্তু পদ তো এখনও নেই। পদ ভাঙিয়ে আমি খাই না।”
তার পর ফের দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, “মার খাওয়া প্রতিনিধিদের পাশে নেই দল… খালি মেরে দেব, পুঁতে দেব, তোমার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেব! এসব দিয়ে রাজনীতি হয়?”’
অন্যদিকে তথাগত সম্পর্কে দিলীপ বলেন, কোনও মন্তব্য থাকলে উনি যেন সেটা দলের অন্দরে করেন। যদিও ইন্টারভিউ-র শেষে একসঙ্গে বসে তথাগত রায়ের সঙ্গে বসে চা খাওয়ার-ও বার্তা দিয়ে রাখলেন দিলীপ ঘোষ।