‘যোগদান মেলা’-র কাঁটা বিঁধছে বিজেপিকে, হেস্টিংসের বৈঠকে প্রশ্নের মুখে কৈলাস-মেননরা

ঋদ্ধীশ দত্ত |

Jun 17, 2021 | 11:06 PM

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্তরের নেতা শিবপ্রকাশ। বৈঠকে তাঁকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। তবে বিশেষভাবে প্রশ্ন ওঠে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ভূমিকা নিয়ে। এ দিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি।

যোগদান মেলা-র কাঁটা বিঁধছে বিজেপিকে, হেস্টিংসের বৈঠকে প্রশ্নের মুখে কৈলাস-মেননরা
ফাইল ছবি

Follow Us

কলকাতা: ২০০-র বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন মাত্র ৭৭ আসন পেয়েই ভাঙল কেন? কারণ খুঁজতে বৃহস্পতিবার হেস্টিংসের দফতরে একটি হেভিওয়েট বৈঠক করেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। সেই বৈঠকেই ফের একবার প্রকট হল বঙ্গ বিজেপির আদি-নব্য দ্বন্দ্ব। প্রশ্ন উঠল, নির্বাচনের আগে কেন পুরনো কর্মীদের পিছনের সারিতে রাখা হল? সদ্য তৃণমূল ত্যাগ করে স্রোতে ভেসে আসা নেতাদের সামনে এনেই বা কেন বিজেপি সম্পর্কে ভুল বার্তা দেওয়া হল মানুষকে?

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্তরের নেতা শিবপ্রকাশ। বৈঠকে তাঁকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। তবে বিশেষভাবে প্রশ্ন ওঠে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ভূমিকা নিয়ে। এ দিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি।

যে তৃণমূল নেতাদের রীতিমতো জামাই আদর করে দিল্লি নিয়ে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করানো হয়েছিল, তাঁরাই এখন গলার কাঁটা হয়ে ফুটছে পদ্মশিবিরকে। ঝাঁকে ঝাঁকে তৃণমূল নেতাদের গেরুয়া দলে ভিড়িয়ে নেওয়ার যে কর্মসূচি রাজ্যে শুরু হয়েছিল, তার নাম বিজেপিতে রেখেছিল ‘যোগদান মেলা’। বিজেপির মতো সাংগঠনিক দলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনুমোদন ছাড়া কর্মসূচির এমন নাম রাখা হবে, তা কল্পনা করাও বাতুলতা। সেই ‘যোগদান মেলা’ই এখন বুমেরাং হয়ে উঠেছে অরবিন্দ মেনন, অমিত মালব্যদের জন্য।

বৃহস্পতিবার বিজেপি হেস্টিংসের দফতরে নির্বাচনী বিপর্যয় নিয়ে বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের এবং রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। বৈঠকে হাজির থাকা অরবিন্দ মেননও এ দিন রাজ্য নেতাদের প্রশ্নের মুখে পড়েন। এমনটাই খবর সূত্রে। বৈঠক শেষে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যদিও বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি শুধু জানান, নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সময়ের আগেই শাহি-ভবনে রাজ্যপাল, দেড় ঘণ্টার সাক্ষাৎ শেষে এল এক লাইনের টুইট

সূত্র আরও জানাচ্ছে, নির্বাচনে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিং সরাসরি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তোলেন। যেহেতু সংগঠন দেখার দায়িত্বে ছিলেন শিবপ্রকাশ, বাকি কেন্দ্রীয় নেতা এবং সহ-পর্যবেক্ষকেরা রণনীতি বাছাই এবং প্রার্থী নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন, তাই বিজয়বর্গীয়র অনুপস্থিতিতে প্রশ্নের মুখে পড়েন অরবিন্দ মেনন। এমন টালমাটাল অবস্থায় আগামী ২৯ জুন বিজেপি রাজ্য কমিটির বৈঠক। সেখানে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা আরও সমলোচনার মুখে পড়তে পারেন, তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর জয়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা মমতার, রাত পোহালেই শুনানি

Next Article