কলকাতা: সেপ্টেম্বরে ইডি-সিবিআইয়ের মতো এজেন্সির বিরুদ্ধে বিধানসভায় আনা হয় নিন্দা প্রস্তাব। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে মমতার সাফ দাবি ছিল, “প্রধানমন্ত্রী এ সব করেছেন বলে বিশ্বাস করি না।” মোদী নিয়ে মমতার এই আচমকা ‘সুর নরম’ নিয়ে বিস্তর চর্চা হয় রাজনৈতিক মহলে। যদিও মমতার এই প্রতিক্রিয়ার পিছনে ‘কুটিল’ রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলে মত বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের।
‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে এসে টিভি-৯ বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অগ্নিমিত্রা বলেন, “মমতার রাজনৈতিক কুটিল বুদ্ধি দারুণ। উনি যে বারবার বলেন না যে আমি প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে কিছু বলব না। উনি এটা বলে আপনাদের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছেন যে তোমরা এটা ভাব মোদীজি আমার সঙ্গে সেটিং করেছেন। মোদী সরকারের সাফল্য যারা দেখছেন তাঁরা জানেন তিনি কোনও দিনই কোনও সেটিংয়ে আসবেন না। সেদিনও তো প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বাংলাকে কাশ্মীর হতে দেব না। এটা অনেক বড় স্টেটমেন্ট।” প্রসঙ্গত, শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ‘রাম-বাম’ জোটের তত্ত্ব তুলে একযোগে বিজেপি-সিপিএমকে আক্রমণ শানাতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলকে। এবারেও পঞ্চায়েত ভোটের সলতে পাকানো শুরু হতেই সেই গুঞ্জন ফের জোরালো হতে শুরু করেছে। নন্দকুমারের সমবায় ভোটে ঘাসফুল শিবিরের ডুবন্ত অবস্থা একইসঙ্গে বাম-বিজেপি সমর্থকদের একযোগে বড় জয়ের পর সেই গুঞ্জন ফের জোরালো হয়েছে। যদিও অগ্নিমিত্রার সাফ দাবি, লোকে যাই বলুক, বিজেপি কোনও সেটিংয়ের ধার ধারে না।
অগ্নিমিত্রার কথায়, “এই নির্বাচনগুলি পতাকা ছাড়া হয়। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে সাধারণ মানুষ এই সরকারের থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য তাঁরা একসঙ্গে মিলে ইলেকশন লড়ছে। নীচুস্তরের নির্বাচন দিকে উপরস্তরের দিক নির্বাচন করা ঠিক হবে না।” উল্টে তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএমের আঁতাতের অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, “রাজ্যজোড়া দুর্নীতির প্রতিবাদে আন্দোলনে একমাত্র বিজেপিকেই দেখা যাচ্ছে। তবে বামেরা মমতার সার্পোট অনেকটাই পায়। সে কারণে ওদেরটা চোখে পড়ে। কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম রয়েছে যাঁরা মমতার পেটোয়া। তাই ওরা আন্দোলন করলে ওদের ছবিটা বের হয়। আমরা আন্দোলন করলে আমাদের টা বের হয় না। আমরা ভালভাবে জানি মমতা সার্পোর্ট করছেন যাতে বামেরা উঠে আসে।”