কলকাতা: মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় ‛দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিসক্যাল রেসপন্সিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট (দ্বিতীয় সংশোধনী) বিল ২০২২’-এর প্রেক্ষিতে আলোচনা চলছিল। আর সেই সময়েই বিজেপির বিধায়ক অশোক লাহিড়ি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী গতকাল সদনে প্রশ্ন করেছিলেন, আমরা সবাই চোর?” এরপরই অশোকবাবুর সংযোজন, “আমি বিশ্বাস করি, আপনারা সবাই চোর নন।” বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে নিজের সেই কথার ব্যাখ্যাও দেন অশোক লাহিড়ি। তিনি বলেন, “শাসক দলের ২১৩ জন বিধায়ক আছেন। তাঁদের আমি কীভাবে ভাবি যে সবাই চোর? চোর তো প্রমাণ না হলে, কীভাবে বলা যায়। দুই-তিন জন গিয়েছেন জেলে, তাতে সবাই চোর কেন হবেন?”
বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি আরও বলেন, “বাঙালি সহজাতভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত নন। যে সব বিষয় সামনে এসেছে, তা দূর করতে হবে। জনগণ দুর্নীতি চায় না। কারণ, দুর্নীতিতে জনগণের খরচ বেড়ে যায়।” তাঁর বক্তব্য, “দুর্নীতি অনেকটা ঘুনের মতো। একবার ধরলে, রন্ধ্রে রন্ধ্রে বেরিয়ে যায়। এই দুর্নীতি দূর করা দরকার। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যখন এই সরকারকে এনেছিল, তখন এই সরকার পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই দাবিগুলির উপর অনেকটাই ছায়া পড়েছে। আমার ধারণা, বাঙালি সহজাতভাবে চোর নয়। যে সব কারণে এই দুর্নীতির প্রকোপ বেড়েছে তা দূর করা একান্ত দরকার।”
উল্লেখ্য, এর আগে সাম্প্রতিক অতীতে দুর্নীতির ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিজেপি শিবির থেকে বার বার আক্রমণ শানানো হয়েছে রাজ্যের শাসক শিবিরকে। শুধু বিজেপিই নয়, আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বামেরাও। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি বলেন, “দুর্নীতির বিষয়ে জনতা খুবই চিন্তিত। এর একটি প্রতিফলন তো পঞ্চায়েত ভোটে হওয়া স্বাভাবিক।” বিজেপি বিধায়ক এদিন দুর্নীতির যে খারাপ প্রভাব অর্থনীতির উপর পড়ে, সেই কথাও ব্যাখ্যা করেন। পাশাপাশি, কীভাবে রাজ্যের অর্থনীতিতে আরও উন্নত করা যায়, তেমন বেশ কিছু বার্তাও দেন বিজেপি বিধায়ক তথা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ি।