কলকাতা: আগামী পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি কী ভাবে নেওয়া হবে তা নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপি-র রাজ্যস্তরের শীর্ষ নেতারা। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক ছাড়াও দলের বিধায়করাও উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে। সেই বৈঠকে আগামী পঞ্চায়েত ভোটের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা চালিয়েছেন রাজ্য বিজেপির নেতা। সেই বৈঠকে পঞ্চায়েত ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করেছেন বিজেপির বিধায়করা। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের কাছে বিজেপি বিধায়করা দাবি করেছেন পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে এখন থেকেই উদ্যোগ নেওয়া হোক।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের বিধায়কদের একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির পর্যবেক্ষকরা। তাঁদের কড়া নির্দেশ, দল থেকে বিধায়করা বিচ্ছিন্ন হলে চলবে না। সমন্বয় রেখে কাজ করার বার্তার বিধায়কদের দিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, শারদোৎসবকে কেন্দ্র করে জন সংযোগে জোর দিতে হবে বিধায়কদের। বৃক্ষরোপণ, রক্তদান, বস্ত্র বিতরণের মতো জনসেবা মূলক কাজগুলিকে জোর দিতে বলা হয়েছে বিধায়কদের। বিধায়কদের কাজে রাজ্য সরকার অসহযোগিতা করেছে বলে বৈঠকে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্র থেকে বিধায়কদের সিএসআর ফান্ড বাড়াতে আবেদন করেছেন তিনি।
আগামী পঞ্চায়ের ভোটে কৃষকদের উপর ভরসা রাখতে চাইছেন বিজেপির পর্যবেক্ষকরা। পঞ্চায়েত ভোটে কৃষকদের হাতিয়ার করতে চায় রাজ্য বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গ কৃষি নির্ভর রাজ্য। পঞ্চায়েত এলাকায় ভোটারদের একটা বড় অংশ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কৃষকদের উপর রাজ্য সরকারের বঞ্চনার বিষয়ি তুলে ধরতে চাই বঙ্গ বিজেপি। এ নিয়ে গ্রামে গ্রামে প্রচার করতেও তৎপর গেরুয়াশিবির। বিজেপির প্রচারের অন্যতম অভিমুখ হবে ,কৃষকদের স্বার্থে চালু করা কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রূপায়নে বাধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত ভোটের আগে লক্ষাধিক কৃষক পরিবারের কাছে পৌঁছাতে তৎপর বঙ্গ বিজেপির নেতা-কর্মীরা।