কলকাতা: পকেটমারদের উৎপাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বিধায়ক-সাংসদরাও! দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে দামী ফোন খুইয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। রাজঘাটে তাঁর পকেট থেকে কেউ তুলে নিয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদের। আর একই দিনে কলকাতাতেও পকটেমারদের উৎপাতে কাবু বিজেপি বিধায়করাও। বীরভূমের দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহার পকেট থেকে কেউ মানি ব্যাগ তুলে নিয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁর মানি ব্যাগে নগদ ১০ হাজার টাকা ছিল বলে দাবি বিধায়কের। সেই টাকা তো খোয়া গিয়েছেই, সঙ্গে তাঁর ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, বিধায়ক পরিচয়পত্র-সহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরি হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহার।
শুধু অনুপ সাহারই নয়, সঙ্গে আরও বিজেপি বিধায়কও এমন ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন আজ। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক আশিসকুমার বিশ্বাসও আজ পকেটমারদের খপ্পরে পড়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার পর দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপবাবু ইতিমধ্যেই ময়দান থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। বিধায়ক জানাচ্ছেন, “রাজ্যে নারী নির্যাতন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আজ বিজেপির মহিলা মোর্চার অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। দলের সব বিধায়করা সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ভিড়ের মধ্যে আমার মানি ব্য়াগ চুরি হয়ে গিয়েছে। মানি ব্যাগের মধ্যে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, বিধায়ক কার্ড, এটিএম-সহ প্রায় ১০ হাজার টাকা ও অন্যান্য সামগ্রী চুরি হয়ে গিয়েছে।”
সোমবারের এই ঘটনায় বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। যেখানে বিধায়ক বা জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেই এমন ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, তখন বাকি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কী হতে পারে? তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক এমন ক্ষেত্রে প্রশাসনের দায়িত্বের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। বলছেন, “যেখানেই মিটিং-মিছিল হবে, সেখানে প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া প্রশাসনের দায়িত্ব। যারা এই ধরনের গ্যাং চালাচ্ছে, তাদের ধরে এই ধরনের চুরি বন্ধ করতে হবে। এই দায়িত্ব প্রশাসনের।”