Suvendu Adhikari: রাস্তার আন্দোলনে জোর দিতে হবে, বিজেপির বৈঠকে বার্তা শুভেন্দুর

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Jan 21, 2023 | 3:56 PM

রাস্তার আন্দোলনের উপর জোর দেওয়ার বার্তা দিলেন শুভেন্দু। এদিন তাঁর মুখে বামেদের আন্দোলনের প্রশংসাও শোনা যায়।

Suvendu Adhikari: রাস্তার আন্দোলনে জোর দিতে হবে, বিজেপির বৈঠকে বার্তা শুভেন্দুর
শুভেন্দু অধিকারী

Follow Us

কলকাতা: জনসংযোগ-ই অন্যতম হাতিয়ার। আর যে কোনও ভোট জিততে এবং জনগণের মনে দাগ কাটতে রাস্তার আন্দোলন-ই একমাত্র পথ। শুক্রবার দলীয় বৈঠকে এমনটাই শোনা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলায়। আগামী পঞ্চায়েত ভোটে জয় পেতে রাস্তার আন্দোলনের উপরই ভরসা রাখছেন শুভেন্দু।

জানা গিয়েছে, এদিন বিজেপির রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই রাস্তার আন্দোলনের উপর জোর দেওয়ার বার্তা দিলেন শুভেন্দু। এদিন তাঁর মুখে বামেদের আন্দোলনের প্রশংসাও শোনা যায়। বুথ স্তর থেকে দলকে মজবুত করার বার্তা দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “বুথ শক্তিশালী করা দরকার। তার চেয়েও বেশি দরকার রাস্তার আন্দোলন। যত দুর্নীতি হয়েছে, তার কত ভাগ রাস্তার আন্দোলন হয়েছে? বামেরা যখন কংগ্রেসকে সরিয়েছিল, তখন কটা বুথে বামেদের এজেন্ট ছিল? রাস্তার আন্দোলনই বামেদের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরি করেছিল।”

এদিনের বৈঠকে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষও। শুভেন্দু অধিকারী যখন রাস্তার আন্দোলনের উপর জোর দেওয়ার কথা বলেন, তখন সংখ্যালঘুদের নিয়ে বিশেষ বার্তা দেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “সংখ্যালঘুদের মধ্যে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে হবে। তাদের সরিয়ে রাখলে হবে না। আমাদের তাদের কাছেও পৌঁছতে হবে।” অন্যদিকে, বুথ স্তর থেকে দলকে শক্তিশালী করার কথা স্বীকার করে নেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “২৫টি আসনকে পাখির চোখ করে এগোতে হবে। নূন্যতম ৫০ হাজার বুথে পৌঁছতেই হবে। সীমান্তবর্তী এলাকায় সংগঠন করে তুলতে হবে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী বৈঠকের নির্দেশে ওই এলাকায় রাজ্য নেতাদের গিয়ে বৈঠক করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সীমান্তবর্তী এলাকায় সংগঠন ছড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন।”

এদিন বিজেপির রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যেমন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা উঠে আসে, তেমনই অশোক দিন্দা ও অমিতাভ চক্রবর্তীর মধ্যে বিতর্কের কথা প্রকাশ্যে আসে। শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ অশোক দিন্দা বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেন, “অনেক জেলার সভাপতিরা নীচেরতলায় যোগাযোগ রাখেন না। নিজেদের লোকেদের নিয়ে সংগঠন চালান।” এরপরই তাঁকে বাধা দিয়ে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সংগঠন অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, “এটা জেলার বৈঠক নয়। এখানে এসব বলবেন না। এইসব নিয়ে অনেকবার আলোচনা হয়েছে।” তখন দুজনকে থামাতে আসরে নামেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে। তিনি বলেন, “আপনার অভিযোগ শোনা হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে মেটানো হবে।”

Next Article