Suvendu Adhikari: ‘বুদ্ধবাবুর সঙ্গে কথা বলায় পানিশমেন্ট দিয়েছিল তৃণমূল’, বুদ্ধ-স্মরণে বললেন শুভেন্দু

Pradipto Kanti Ghosh | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 10, 2024 | 12:01 AM

Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর কথায়, "আমার সঙ্গে কথা হয়েছে ২০০৭ সালের ১২ মার্চ। রাজ্যপালের ভাষণের উপরে বক্তব্য ছিল। আমার তৎকালীন দলের তরফে বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল ২০ মিনিট। আমার বক্তব্য বুদ্ধবাবু শুনেছিলেন। আমার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর বুদ্ধবাবু হাত দিয়ে আমাকে ডেকেছিলেন। অধ্যক্ষ তখন হাসিম আব্দুল হালিম। মার্শালকে পাঠিয়ে উনি বললেন মুখ্যমন্ত্রী আপনার সঙ্গে কথা বলতে চান। আমি অধ্যক্ষের পিছন দিয়ে গিয়ে সেদিন কথা বলি।"

Follow Us

কলকাতা: তাঁরা একসঙ্গে যখন বিধানসভা কক্ষে বসেছেন, সে সময় একজন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যজন তরুণ বিধায়ক। আজ শুক্রবার বিধানসভা প্রাঙ্গণে যখন সেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মরদেহ শোয়ানো, বাইরে তখন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সেদিনের সেই তরুণ বিধায়ক তথা আজকের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার কিছু আগেই তিনি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। বুদ্ধবাবুর আত্মার শান্তি কামনার পাশাপাশি পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানান শুভেন্দু। এদিন জানান, বুদ্ধবাবুর সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁকে শাস্তি পর্যন্ত পেতে হয়েছিল তাঁর পুরনো দলের কাছ থেকে।

সে সময় শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে। তৃণমূল বিধায়ক হয়ে বিধানসভায় গিয়েছেন। শুভেন্দুর কথায়, “আমার সঙ্গে কথা হয়েছে ২০০৭ সালের ১২ মার্চ। রাজ্যপালের ভাষণের উপরে বক্তব্য ছিল। আমার তৎকালীন দলের তরফে বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল ২০ মিনিট। আমার বক্তব্য বুদ্ধবাবু শুনেছিলেন। আমার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর বুদ্ধবাবু হাত দিয়ে আমাকে ডেকেছিলেন। অধ্যক্ষ তখন হাশিম আব্দুল হালিম। মার্শালকে পাঠিয়ে উনি বললেন মুখ্যমন্ত্রী আপনার সঙ্গে কথা বলতে চান। আমি অধ্যক্ষের পিছন দিয়ে গিয়ে সেদিন কথা বলি।”

বিরোধী দলনেতার সংযোজন, “কী কথা হয়েছিল আগেও বলেছি, ভবিষ্যতে আবার বলব। এখন এই সময়ে তা বলব না। তবে তার জন্য তৃণমূল আমাকে পানিশমেন্ট দিয়েছিল। আজকে যিনি জেলে, সে সময় তৃণমূলের ৩০ সদস্যের মধ্যে বিরোধী দলনেতা ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার কাছে নির্দেশ এসেছিল আমাকে যেন আর বলতে না দেওয়া হয়। ২০০৭ এর ১২ মার্চ থেকে অলিখিতভাবে ২০০৯ পর্যন্ত আমার এই শাস্তি ছিল। এরপর আমি সাংসদ হয়ে করি বিধায়ক পদ থেকে। সেই ২০০৯ পর্যন্ত আমাকে আর কোনও অধিবেশনে বক্তার তালিকায় রাখা হতো না। আমার অপরাধ একটাই ছিল, আমি সেদিন বুদ্ধবাবুর সঙ্গে কথা বলেছিলাম।”

এদিন শুভেন্দু বলেন, তিনি সেসময় প্রথমবার নির্বাচিত বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ডেকেছেন, তাই তিনি গিয়েছিলেন। আর সে কারণে তাঁকে শাস্তি দিয়েছিল দল। শুভেন্দু জানান, নন্দীগ্রাম, হরিপুর সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও বুদ্ধবাবুর সঙ্গে টেলিফোনে তাঁর কথা হয়েছিল। একজন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একজন জনপ্রতিনিধির যেমন কথা হয়। বুদ্ধবাবুর আপ্ত সহায়ক সেদিন শুভেন্দুকে ফোন করে ধরিয়ে দিয়েছিলেন।  নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের কথায়, বুদ্ধবাবুর রাজনৈতিক আদর্শের সঙ্গে তাঁর দলের আদর্শ না মিললেও, ব্যক্তি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সততা, সহজ সরল জীবনযাপন আজকের দিনে রাজনীতিকদের কাছে ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

কলকাতা: তাঁরা একসঙ্গে যখন বিধানসভা কক্ষে বসেছেন, সে সময় একজন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যজন তরুণ বিধায়ক। আজ শুক্রবার বিধানসভা প্রাঙ্গণে যখন সেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মরদেহ শোয়ানো, বাইরে তখন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সেদিনের সেই তরুণ বিধায়ক তথা আজকের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার কিছু আগেই তিনি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। বুদ্ধবাবুর আত্মার শান্তি কামনার পাশাপাশি পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানান শুভেন্দু। এদিন জানান, বুদ্ধবাবুর সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁকে শাস্তি পর্যন্ত পেতে হয়েছিল তাঁর পুরনো দলের কাছ থেকে।

সে সময় শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে। তৃণমূল বিধায়ক হয়ে বিধানসভায় গিয়েছেন। শুভেন্দুর কথায়, “আমার সঙ্গে কথা হয়েছে ২০০৭ সালের ১২ মার্চ। রাজ্যপালের ভাষণের উপরে বক্তব্য ছিল। আমার তৎকালীন দলের তরফে বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল ২০ মিনিট। আমার বক্তব্য বুদ্ধবাবু শুনেছিলেন। আমার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর বুদ্ধবাবু হাত দিয়ে আমাকে ডেকেছিলেন। অধ্যক্ষ তখন হাশিম আব্দুল হালিম। মার্শালকে পাঠিয়ে উনি বললেন মুখ্যমন্ত্রী আপনার সঙ্গে কথা বলতে চান। আমি অধ্যক্ষের পিছন দিয়ে গিয়ে সেদিন কথা বলি।”

বিরোধী দলনেতার সংযোজন, “কী কথা হয়েছিল আগেও বলেছি, ভবিষ্যতে আবার বলব। এখন এই সময়ে তা বলব না। তবে তার জন্য তৃণমূল আমাকে পানিশমেন্ট দিয়েছিল। আজকে যিনি জেলে, সে সময় তৃণমূলের ৩০ সদস্যের মধ্যে বিরোধী দলনেতা ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার কাছে নির্দেশ এসেছিল আমাকে যেন আর বলতে না দেওয়া হয়। ২০০৭ এর ১২ মার্চ থেকে অলিখিতভাবে ২০০৯ পর্যন্ত আমার এই শাস্তি ছিল। এরপর আমি সাংসদ হয়ে করি বিধায়ক পদ থেকে। সেই ২০০৯ পর্যন্ত আমাকে আর কোনও অধিবেশনে বক্তার তালিকায় রাখা হতো না। আমার অপরাধ একটাই ছিল, আমি সেদিন বুদ্ধবাবুর সঙ্গে কথা বলেছিলাম।”

এদিন শুভেন্দু বলেন, তিনি সেসময় প্রথমবার নির্বাচিত বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ডেকেছেন, তাই তিনি গিয়েছিলেন। আর সে কারণে তাঁকে শাস্তি দিয়েছিল দল। শুভেন্দু জানান, নন্দীগ্রাম, হরিপুর সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও বুদ্ধবাবুর সঙ্গে টেলিফোনে তাঁর কথা হয়েছিল। একজন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একজন জনপ্রতিনিধির যেমন কথা হয়। বুদ্ধবাবুর আপ্ত সহায়ক সেদিন শুভেন্দুকে ফোন করে ধরিয়ে দিয়েছিলেন।  নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের কথায়, বুদ্ধবাবুর রাজনৈতিক আদর্শের সঙ্গে তাঁর দলের আদর্শ না মিললেও, ব্যক্তি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সততা, সহজ সরল জীবনযাপন আজকের দিনে রাজনীতিকদের কাছে ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

Next Article