প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ: বিজেপি (Bharatiya Janata Party) পরিষদীয় দলের বিজয়া সম্মিলনী দীঘায় (Digha) আয়োজিত হতে চলেছে। দলের এক বিধায়ক বিজেপির পরিষদীয় দলের নেতাদের কাছে দীঘায় বিজয়া সম্মিলনী করার জন্য প্রস্তাব দেন। ওই বিধায়কই দলের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের (Cultural Events of BJP) সঙ্গে যুক্ত থাকেন। দলের অন্দরে ভিন্ন ধারায় কর্মসূচি আয়োজনেও ওই বিধায়কের ভূমিকা থাকে। সংশ্লিষ্ট বিধায়কের প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন পরিষদীয় দলের শীর্ষ স্তরের নেতার। তাই সব ঠিক থাকলে, দীঘাতেই আয়োজিত হতে চলেছে বিজেপি পরিষদীয় দলের বিজয়া সম্মিলিনী।
আবার বিধানসভার অন্দরে পরিষদীয় দলের ঘরেও হবে বিজয়া সম্মিলিনী। আর তারপর সেখান গিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষের ঘরে যাবেন বিজেপি বিধায়করা। সেখানে অধ্যক্ষের সঙ্গে বিজয়ার শুভেচ্ছা পর্ব সেরে নিজেদের ঘরে ফিরে আসবেন তাঁরা। তার কিছুক্ষণ পরে ফের অধ্যক্ষের ঘরে গিয়ে বিধানসভার অভ্যন্তরে পতাকা হাতে দলবদলের প্রসঙ্গে ডেপুটেশন দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল। অন্তত বিজেপি সূত্র মারফত তেমনই জানা গিয়েছে। অধ্যক্ষের কাছে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার পর ওই বিষয় নিয়েই রাজ্যপালের কাছে যাবেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভা থেকে হেঁটেই রাজভবনে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে পদ্ম শিবিরের বিধায়কদের।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, বিজয়া সম্মিলিনীর পরতে পরতে রাজনীতিকে জুড়ে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। আর সেই মতো নিজেদের কার্যসিদ্ধি করার জন্যই এই ধরনের পরিকল্পনা বলে মনে করছে রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা।
যদিও বিজেপি বিধায়কদের অনেকের মতে, ‘বিজয়া সম্মিলনীর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। তবে নিজেদের বক্তব্য তো জানাতে হবেই। সে কারণেই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বিধানসভায় সংসদীয়-পরিষদীয় রাজনীতি হয়। তা কাম্য। কিন্তু দলীয় রাজনীতি তো করা যায় না। শাসকদল সেটাও করল।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিজেপির সঙ্গে প্রায় দুই বছরের সম্পর্কের ইতি টেনে তৃণমূলে ফিরেছেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র তথা প্রাক্তন বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। তাঁর দলবদল নিয়ে স্বভাবতই তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী টেনেছেন অন্য প্রসঙ্গ। কীভাবে বিধানসভার মধ্যে কোনও নেতার হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে যোগদান করানো যায়, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
আর এদিন তাঁর দলের বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভায় এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান শুভেন্দু। ‘কেন বিধানসভা কে পার্টি অফিসে পরিনত করা হল’, ‘জবাব চাই, জবাব দাও’ এমন স্লোগান ওঠে। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, “সংবিধানের মূল অস্তিত্বকে নস্যাৎ করে, সমাধিস্থ করে দিয়ে ‘ফর দ্য পার্টি, বাই দ্য পার্টি, অফ দ্য পার্টির এটাই ছিল শেষ জায়গা।’
আরও পড়ুন : Biman Banerjee: বিধানসভায় পতাকা হাতে দলবদল না হলেই ভাল হত, বললেন অধ্যক্ষ