কলকাতা: বুধবার দুপুর পর্যন্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে ৯ হাজার ৬৮২ আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। সংখ্যাটা তৃণমূলের অনেকটাই পিছনে। লোকসভা নির্বাচনের যখন আর মাত্র কয়েক মাস বাকি, তখন এই ফলাফল কি চিন্তায় ফেলছে বিজেপিকে? প্রাথমিকভাবে হিসেব করে বিজেপি দেখেছে, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় ভোট কমেছে ১৫ শতাংশ। দল হিসেব করে দেখেছে ২২ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরকে সবথেকে বেশি চিন্তায় ফেলেছে, ঝাড়গ্রাম, বাগদা, বনগাঁর ফলাফল। মতুয়া ভোট সেভাবে পায়নি বিজেপি। আদিবাসী ভোটাররাও কি মুখ ফেরাল?
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি যা ভোট পেয়েছিল, তার থেকে এবার ৪ শতাংশ ভোট বেড়েছে। তবে ২০১৮-র পর রাজ্যে রাজনৈতিক ছবিটাও তো বদলেছে। ১৮ সাংসদ পেয়েছে বিজেপি, পেয়েছে ৭৭ জন বিধায়ককে। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, যে গতিতে বিজেপির এগনোর কথা ছিল, তা হয়নি। তাহলে দলের সংগঠনে কোথাও খামতি ছিল? ভোট লুঠ হওয়ার অভিযোগ তুললেও এই প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, দলের কোথাও ত্রুটি ছিল কি না, তা বিবেচনা করে দেখা হবে।
শেষবার লোকসভা ও বিধানসভায় বিজেপি ব্যাপক ভোট পেয়েছিল বিজেপি উত্তরবঙ্গ, ঝাড়গ্ৰাম আর মতুয়াদের থেকে। এবার পঞ্চায়েতে উত্তরবঙ্গে ভাল ফল করেছে তৃণমূল। চা বাগানেও ভাল ভোট পায়নি বিজেপি। ঝাড়গ্ৰামে ফল খারাপ, মতুয়া ভোটও পায়নি বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের এলাকাতেও ফলাফল খুব একটা ভাল নয়। সব মিলিয়ে কপালে ভাঁজ বিজেপি নেতৃত্বের। বিজেপি অবশ্য বলছে, এবারের নির্বাচনে জনমতের কোনও প্রতিফলন পড়েনি, ফলে তা নিয়ে বিশ্লেষণ বা সমীক্ষার কোনও প্রশ্নও নেই। সূত্রের খবর, যে সব জায়গায় ফলাফল খারাপ হয়েছে সেই সব কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা অবজারভারদের কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।