কলকাতা: ”বাংলা রাজনীতির ইতিহাসে, কৃষ্টিতে ভীষণ বিপদজনক অধ্যায়ের দিকে আমরা অগ্রসর হচ্ছি। গণতান্ত্রিক দেশে এবং তার একটি অঙ্গরাজ্যে যদি কোনো রাজনৈতিক দল প্রচার করতে না পারে, বারে বারে এভাবে বাধা দেওয়া হয়, সাংবাদিকদের সঙ্গেও অসভ্য আচরণ করা হয়, ডিসি সাউথ অভদ্র আচরণ করেন…” বুধবার ভবানীপুর (Bhabanipur)-এ প্রচারে গিয়ে তাঁর সঙ্গে পুলিশ অফিসারের তরজা নিয়ে মন্তব্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder)। আর তারপরেই বাংলার বিরোধীদের সঙ্গে ত্রিপুরার (Tripura) তুলনা টানেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। বিস্ফোরক অভিযোগও করলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্তবাবু বলেন, “আমরা প্রতিবাদ করেছি, কিন্তু বাংলায় গণতন্ত্র নেই। তাই আশা করি না। এই ব্যারিকেড করে বেশিদিন আটকানো যাবে না, আগামী দিনে জনগণ এই ব্যারিকেড ভেঙে দেবে।” তার পরেই ত্রিপুরায় তৃণমূলকে বারবার আটকানো হচ্ছে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁর মন্তব্য, “তৃণমূল কংগ্রেস যে অভিযোগ করছে তার সঙ্গে আমাদের অভিযোগের আকাশ-পাতাল তফাত। ওঁরা ত্রিপুরায় গিয়ে ঝুট-ঝামেলা হাঙ্গামা তৈরির চেষ্টা করছেন। পকেটে করে ব্লেড নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নেতারা। সেই ব্লেড দিয়ে কার পকেটমারি করবেন বা কী করবেন তা আমাদের জানা নেই।”
এর পর যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সুকান্তের খোঁচা, “যখন পরিষ্কারভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেত্রীরা বলে দিচ্ছেন আমরা বাংলা থেকে ১০০ ছেলে পাঠিয়ে দেব, সেটা হাড় হিম করা হুমকি। স্বাভাবিকভাবে ত্রিপুরার প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। ওনারা মিছিলের অনুমতি দেননি।”
ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় রাজ্যের শাসক শিবিরকে তীব্র আক্রমণ শানান তিনি। তাঁর অভিযোগ, বিরোধীরা অভিযোগ করলে তাদেরই থানায় থেকে ডেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে। সুকান্তবাবুর কথায়, “একটা প্রেসার কুকার সিচুয়েশন তৈরি হয়েছে বাংলায়।”
এদিন আবার কলকাতায় জমা জল নিয়ে উত্তরাখণ্ডকে দায়ী করেছেন পুরপ্রশাসক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। যা নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতির প্রতিক্রিয়া, “নতুন থিসিস উনি তৈরি করবেন… নদী বিজ্ঞানের উপরে, ওনার থিসিস আবার আমরা দেখব। আমার মনে হয়, এটা ওঁর অজুহাত। প্রশাসনের তরফ থেকে তো এটুকু করা যেতেই পারে। যেখানে জল জমে রয়েছে সেখানকার বৈদ্যুতিক তার গুলো বাকি অবস্থায় রয়েছে, তা নিয়মিত মনিটরিং করা। সরকারি ব্যবস্থায় মাইকিং করা।”
এদিকে দলীয় ভাঙন নিয়েও এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছ সুকান্ত মজুমদারকে। তাঁর দাবি, বিজেপির নীতি আদর্শ দিয়ে দলটা যাঁরা করেন, তাঁরা কেউ ছেড়ে যাবেন না। এরপরেই বিক্ষুব্ধদের উদ্দেশে তাঁর মেসেজ, “আপনাদের কোনও সমস্যা থাকলে আসুন। আমরা বসে আলোচনা করব। পৃথিবীর সমস্ত সমস্যার সমাধান আলোচনা করেই সম্ভব।”
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: হাইকোর্টে বড় জয় শুভেন্দুর, বিরোধী দলনেতার পুজোয় ছাড়পত্র আদালতের