কলকাতা: আপাতত রাজ্যে আসছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। পিছিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি জে পি নাড্ডার বাংলার কর্মসূচিও। বিজেপি সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে। কী কারণে রাজ্য সফর আপাতত বাতিল হচ্ছে, সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে আগামী ১৬-১৭ জানুয়ারি রাজধানী দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক স্থির হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের অনুমান, সম্ভবত সেই কারণেই সফর আপাতত বাতিল করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি শিবির। তাই কেন্দ্রীয় বিজেপির তাবড় নেতাদের রাজ্যে আসার কথা ছিল। প্রাথমিকভাবে বিজেপি সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, আগামী ৭ ও ৮ তারিখ রাজ্যে সভা করার কথা ছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার। ১৭ জানুয়ারি অমিত শাহও আসবেন বলে শোনা যাচ্ছিল। তারপর ১৯ জানুয়ারি শিলিগুড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সভা করতে পারেন বলে বিজেপি সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল। তবে আপাতত সেই কর্মসূচি বাতিল করা হচ্ছে বলেই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
এই বিষয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য জানাচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সভা বাতিল হয়নি। পিছিয়ে গিয়েছে। নতুন সময় পরবর্তীতে জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
তবে এই কর্মসূচি বাতিল নিয়ে খোঁচা দেওয়ার সুযোগ ছাড়েনি তৃণমূল শিবির। শাসক দলের বিধায়ক তাপস রায় বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সহ বিজেপি নেতৃত্ব যদি বাংলায় আসে তাতে আমাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আসলেও আমাদের কিছু নেই। সেটি তাঁদের বিষয়। সেটা নিয়ে আমরা ভেবেই বা কি করব?” তবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কর্মসূচি বার বার বাতিল হওয়া নিয়ে বাঁকা মন্তব্য করেছেন তিনি। বলেন, “এটি বরং জিজ্ঞেস করতে পারেন শুভেন্দু, সুকান্ত বা দিলীপকে। আসব আসব করে কেন কর্মসূচিগুলি হচ্ছে না বা কেন বদলাচ্ছে?”
উল্লেখ্য, এর আগে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কলকাতায় আসার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ মাতৃবিয়োগ হওয়ার কারণে সশরীরে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। ভার্চুয়ালিই যোগ দিয়েছিলেন সেই অনুষ্ঠানে।