কলকাতা: নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে করা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে বেজায় চটেছে বিজেপি। দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য সোমবার মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এককভাবে নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেছিলেন। এমনকি, কমিশনের আধিকারিরদের বিরুদ্ধে ‘খুনের মামলা করা যায়’ বলেও উল্লেখ করেছিলেন। সেই নিয়ে এ দিন বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য মুখ খোলেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “নির্বাচন কমিশনকে এভাবে আক্রমণ করার অধিকার সংবিধান কোনও আদালতে দেয়নি।” ভোটের জন্য দেশে করোনা ছড়ায়নি, এই দাবি স্বপক্ষে তাঁর যুক্তি, ভারতের বহু জায়গায় নির্বাচন হয়নি। সেখানেও করোনা ছড়াচ্ছে। তবে কি করে এইসব কথা বলল মাদ্রাজ হাইকোর্ট?
রাজ্যের ক্রমশ খারাপ হতে থাকা পরিস্থিতি নিয়ে ফের একবার তৃণমূল সরকারকে নিশানায় নিল বিজেপি। দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকলেও কেন রাজ্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করল না, তা নিয়ে এদিন ফের প্রশ্ন তোলেন রাজ্য বিজেপি সহ সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। স্পর্শকাতর এই সময় দোষারোপের রাজনীতি না করতে চাইলেও বিজেপি এ দিন দাবি করেন, রাজ্য সব সমস্যার দায়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছে।
শমীকের কথায়, “শাসকদল এবং সংবাদ মাধ্যমের একাংশ দেশের করোনা পরিস্থিতির জন্য যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করছেন, এটা ঠিক হচ্ছে না।” বরং এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র এবং রাজ্যকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে কাজ করা উচিত। অন্যান্য বিরোধী দল শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা তেমনটা করলেও এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে কোনও সহযোগিতাই করেননি বলে দাবি বিজেপির।
আরও পড়ুন: ‘ভাষা-সতর্কতা থাকা উচিত বিচারপতিদের’, মাদ্রাজ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ নিয়ে মত নাড্ডার
এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বলে কটাক্ষ করে শমীকের প্রশ্ন, তিনি এখনও পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিন নিলেন না কেন? তিনি সেই সময় ভ্যাকসিন নিলে বাকিরাও উৎসাহিত হতো, এবং এখন ভ্যাকসিন নেওয়ার হুড়োহুড়ি পড়ে যেত না। এমনটাই দাবি বিজেপির। এমনকি, রাজ্যে দশ গুণ দামে ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন শমীক।
আরও পড়ুন: এ বার বিজয় মিছিলে ‘না’, ফস্কা গেরোয় বজ্র আঁটুনি কমিশনের