এ বার বিজয় মিছিলে ‘না’, ফস্কা গেরোয় বজ্র আঁটুনি কমিশনের
করোনা আবহে নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিল, কোনও বিজয় মিছিল করা যাবে না।
নয়া দিল্লি: করোনা আবহে নির্বাচন পরিচালনা করছে নির্বাচন কমিশন। বঙ্গে আর এক দফার ভোট, তারপরই ভোট গণনা। কিন্তু ভোট বাংলায় লাফিয়ে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। তাই প্রশ্ন উঠছে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায়। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য কাঠগড়ায় তুলছেন নির্বাচন কমিশনকে। কলকাতা হাইকোর্ট ও মাদ্রাজ হাইকোর্ট কড়া ভাষায় নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা করেছে। এই পরিস্থিতিতে ভোট পরবর্তী বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কমিশন।
কেন নির্বাচন কমিশন বড় বড় জমায়েতে অনুমতি দিয়েছে, উঠেছিল ঠিক এই প্রশ্নটাই। সোমবার মাদ্রাজ আদালত করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য এককভাবে দায়ী করেছিল কমিশনকে। শুধু তাই নয় প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের ‘খুনি’র সঙ্গে তুলনা করে বলেছিলেন, “খুনের মামলা রুজু হওয়া উচিত।” তখনই মাদ্রাজ হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোট গণনার নীল নকশা চেয়েছিল। সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিল, যদি গণনার দিন করোনা ঠেকানোর যথেষ্ট পরিকল্পনা না থাকে, তাহলে গণনাও বন্ধ করে দেওয়া হবে।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পরই ডেপুটি কমিশনার সুদীপ জৈন একটি ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচনী দফতরের সঙ্গে। আগামী ২ মে ভোট গণনার সময় ভোট কর্মীদের কী কী ধরনের সতর্কতা নিতে হবে সেই বিষয়ে আলোচনা করা হয় ওই বৈঠকে। তারপর মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন ভোট পরবর্তী বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করল।
তামিলনাড়ু, কেরল, অসম, পুদুচেরি, কেরল ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের ফলাফল ২ মে প্রকাশিত হবে। এই নিয়ম সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্যই বলে জানা গিয়েছে।