কলকাতা: বউবাজারে বাড়ি ভাঙার পর নতুন করে বিপর্যয়। স্যাঁকরাপাড়ার ভিতরে মেট্রোর কাজ চলাকালীন জল সরবরাহের পাইপলাইন ফেটে গেল। গোটা এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে জল সরবরাহ বন্ধ। স্যাঁকরাপাড়ার গলির উল্টোদিকেই চলছিল মেট্রোর কাজ। সোমবার সকালে গলির ভিতরে একটি জায়গায় জলের পাইপ ফেটে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা। এই এলাকায় একটা পাইপলাইন রয়েছে, যেটা দিয়ে জল বের হচ্ছে। আরেকটি পাইপলাইন ফেটেছে। এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে সকাল থেকেই জল নেই। একে দুর্গা পিতুরি লেনে বাড়ি ভাঙা পড়েছে, তারপর এলাকা জলহীন। বিপর্যয়ের পর বিপর্যয় বউবাজারে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “গত পাঁচ দিন ধরেই সমস্যা হচ্ছিল। আমরা বলছিলাম। জল সরবরাহ বন্ধ। বলল মেশিন এনে জল তুলতে হবে। কিন্তু মেশিন পাওয়া যায়নি। বাইরে থেকে জল টেনে এনে কোনওমতে কাজ করছি আমরা। কিন্তু এভাবে কতদিন চলবে? কোনও একটা ব্যবস্থা নিতেই হবে।”
সোমবার সকালে পাইপলাইন সারানোর কাজ করছেন কর্মীরা। যখন প্রথমে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল লক্ষ্য করা গিয়েছিল, তখন আশপাশের বাড়িগুলি যাতে ভেঙে না পড়ে, তার জন্য তৎপর ছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ভিত শক্ত রাখার জন্য বাড়ির ভিতরে লোহার বিম ব্যবহার করা হয়েছিল।
সোমবার সকালেই ১৬ ও ১৬/১ দুটি বাড়ির ভাঙার কাজ শুরু হতে পারে। ইঞ্জিনিয়াররা প্রথমে এসে বাড়ি দুটি দেখবেন। প্রাথমিকভাবে আংশিক ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়ে এগনো হচ্ছে। প্রয়োজন পড়লে পুরো বাড়িটাও ভাঙা হতে পারে।
কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মোট ২৫ টি ঘর ভাঙা হবে। আগে ২৩টি ছিল। ২ টো ঘর আরও ভাঙতে হবে। যাদবপুরের রিপোর্ট আসার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে। মেট্রো কর্তৃপক্ষ আরও আশ্বাস দিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সব সামগ্রী তাঁরাই সরাবেন। ভিডিয়োগ্রাফি হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের ওয়্যারহাউসে রাখা হবে।