কলকাতা: দুর্গা পিতুরি লেনের বাড়ি ভাঙা নিয়ে জটিলতা শেষং হচ্ছে না। কথা থাকলেও সোমবার ১৬ নম্বর বাড়ি ভাঙা যাচ্ছে না। কারণ আসবাবপত্র সরানো হলেও সেখানে অনেক শরিক রয়েছে। তাঁদের অনেকেরই অনুমতি পাওয়া যায়নি। তবে ১৬/১এ নম্বর দুর্গা পিতুরি লেনের অংশ ভাঙা হবে। এখানকার যাবতীয় সামগ্রী নিউ টাউনের গোডাউনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাগবাজারের গোডাউনের অবস্থা খারাপ । তাই নিউ টাউন যাচ্ছে মালপত্র।
সকাল থেকেই প্রস্তুতি ছিল তুঙ্গে। কেএমআরসিএল সূত্রে খবর, আংশিক ভাঙার পর যদি দেখা যায়, বাড়ির বাকি অংশ নিরাপদ, তাহলে সেই অংশটি আর ভাঙা হবে না। সেক্ষেত্রে যদি দেখা যায়, ওই বাড়িটির বাকি অংশ বিপজ্জনক, তাহলে গোটা বাড়িটাই ভেঙে ফেলা হতে পারে। কেএমআরসিএল সূত্রে খবর, পরামর্শ নেওয়া হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদেরও।
কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মোট ২৫ টি ঘর ভাঙা হবে। আগে ২৩টি ছিল। ২ টো ঘর আরও ভাঙতে হবে। যাদবপুরের রিপোর্ট আসার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে। মেট্রো কর্তৃপক্ষ আরও আশ্বাস দিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সব সামগ্রী তাঁরাই সরাবেন। ভিডিয়োগ্রাফি হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের ওয়্যারহাউসে রাখা হবে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “বাড়ি ভাঙা নিয়ে অনেক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। হঠ করে বললেই তো সব নিয়ে চলে যাওয়া যায় না। একটা সময় লাগে। তারপর আবার শরিক থাকে বাড়িতে অনেক। সবাইকে নিয়েই তো চলতে হয়। ” প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রফে বিপজ্জনক বাড়ির স্বাস্থ্য নিয়ে সমীক্ষা শুরুর আগেই বউবাজারের দুটি বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাড়ি ভাঙার আগে সমস্ত আসবাবপত্র বাড়ির এক জন সদস্যের উপস্থিতিতে ঠিকাদার সংস্থার পক্ষ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।