কলকাতা: একুশের লড়াইয়ে রবিবারের ব্রিগেড সমাবেশ কার্যত জোটের অ্যাসিড টেস্ট। বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল যখন নিজেদের সর্বশক্তি নিয়ে মসনদ আগলাতে উঠে পড়ে লেগেছে, বিজেপিও মাটি কামড়ে লড়ে যাচ্ছে ‘সোনার বাংলা’র লক্ষ্যে। বামেরা আবার নয়া কৌশলে মাত দিতে চাইছে। বহরে বাড়াচ্ছে জোট। কংগ্রেস তো ছিলই, এবার সঙ্গী করেছে আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ-কে। ব্রিগেডে বক্তব্যও রাখবেন সিদ্দিকি। কিন্তু বক্তা তালিকায় নেই কংগ্রেসের কোনও কেন্দ্রীয় হেভিওয়েট মুখ। ভোটের আগে এই ব্রিগেড সমাবেশ হাত-হাতুড়ির শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ। কিন্তু অদ্ভূতভাবে এদিন এখানে গান্ধী পরিবারের কোনও মুখই থাকছে না। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এই ব্রিগেড নিয়ে বহু দিন ধরেই পরিকল্পনা চলছিল। কংগ্রেস চাইছিল সোনিয়া গান্ধী ব্রিগেডের মঞ্চে এসে দাঁড়ান। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। এরপরই রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নাম নিয়েও জল্পনা দানা বাঁধে। কিন্তু সেসব জল্পনাতেও জল পড়েছে। বদলে রবিবারের ব্রিগেডে কংগ্রেসের ভরসা ছত্তীশগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। সঙ্গে বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী।
কিন্তু কেন কোনও ‘মেগাস্টার’কে এদিন ব্রিগেডমুখী করতে পারল না কংগ্রেস, প্রশ্ন উঠছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, এদিন গান্ধী পরিবারের কোনও সদস্যর উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিশেষ করে এই ভোটের আবহে নতুন করে সিপিএম, কংগ্রেস যখন অক্সিজেন পেতে চাইছে, সেখানে রাহুল বা দলের প্রথম সারির কোনও কেন্দ্রীয় নেতার উপস্থিতি আলাদা মাত্রা যোগ করত।