কলকাতা: বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি (BSF Jurisdiction Extention) নিয়ে উত্তাল হয়েছিল গতকালের বিধানসভা। বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক উদয়ন গুহ। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হওয়ায় এ বার সাংবাদিক বৈঠক করে সাফাই দিল বিএফএফ (BSF)। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্ষমতা সম্পর্কে এডিজি ওয়াই বি খুরানিয়া (YB Khurania) বলেন, “বিএসএফের প্রধান কাজ হল অনুপ্রবেশ রোখা। বিএসএফ কোনও তদন্তকারী সংস্থা নয়, তাই পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপ করার প্রসঙ্গই ওঠে না। রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলে বিএসএফ।”
গত ২১ অক্টোবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Home Ministry) তরফে নির্দেশিকা জারি করে সীমান্ত লাগোয়া একাধিক রাজ্যে বিএসএফের এক্তিয়ার ১৫ কিমি থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিমি করা হয়। এরপরই বিতর্ক শুরু হয়। পঞ্জাব(Punjab)-র পর পশ্চিমবঙ্গেও শাসক দল দাবি করে, বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির ফলে এবার রাজ্যে পুলিশ প্রশাসনের কাজে হস্তক্ষেপ করবে। কেন্দ্রীয় সরকার বিএসএফের এলাকাবৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আদতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপরে আঘাত, এই মর্মেই সরকারি প্রস্তাব আনা হয় মঙ্গলবার। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১১২টি ও বিপক্ষে ভোট পড়ে ৬৩টি।
এই বিষয়ে আরও জলঘোলা হওয়ার আগেই এ দিন বিএসএফের তরফে এডিজি ওয়াই বি খুুরানিয়া সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “দেশের প্রতিরক্ষায় প্রথম সারিতে রয়েছে বিএসএফ। এর অন্যতম কাজ হল বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বজায় রাখা। বিএসএফের ক্ষমতা সীমীত। কেবলমাত্র তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত ও গ্রেফতার করতে পারে বিএসএফ। এটি কোনও তদন্তকারী দল নয়। সীমান্তে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাদের আটক বা গ্রেফতার করা হয়, তাদের সংশ্লিষ্ট বিচারবিভাগীয় সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়।”
সম্প্রতিই কেন্দ্রের তরফে পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও পঞ্জাবে বিএসএফের এক্তিয়ার ১৫ কিমি থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিমি করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” আমাদের রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। নিয়মিত আমরা যোগাযোগ বজায় রাখি, তথ্য ভাগ করে নিই এবং প্রয়োজন অনুযায়ী যৌথভাবে সীমান্তে ও রাজ্যের অন্দরে তল্লাশি অভিযানও চালাই। আমি সাফ জানিয়ে দিতে চাই যে, কেন্দ্রের নির্দেশিকায় পশ্চিমবঙ্গে বিএসএফের এক্তিয়ার ৫০ কিমি অবধি বাড়ানো হয়েছে। বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে যে, এ বার তদন্তের ক্ষমতা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে বিরোধ বাধতে পারে। আমি জানিয়ে দিতে চাই যে, বিএসএফের তদন্তের কোনও অধিকার নেই। এফআইআরও দায়ের করে না বিএসএফ। তল্লাশি অভিযানে যা কিছু আটক করা হয় বা গ্রেফতার করা হয়, তা রাজ্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর এফআইআর দায়ের করা থেকে পরবর্তী যাবতীয় পদক্ষেপ পুলিশেরই হয়। ১১ অক্টোবরের নির্দেশিকার পরও একই নিয়ম জারি রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিএসএফের ক্ষমতা এখনও আগের মতোই সীমীত রয়েছে। কেবল এক্তিয়ার ১৫ কিমি থেকে ৫০ কিমি করা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে যে তিনটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তার একটিতে সিআরপিসপির অধীনে তল্লাশি অভিযান, বাজেয়াপ্ত ও গ্রেফতার নিয়ে বলা হয়েছে। বাকি দুটিতে বিএসএফের ক্ষমতা নিয়ে বলা হয়েছে, যা হল অনুপ্রবেশকারীদের যাচাই করা ও প্রয়োজনে গ্রেফতার। নয়া নির্দেশিকায় বিএসএফের কোনও ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়নি। এই সম্পর্কে কোনও ভুল ধারণা থাকলে, আমরা তা দূর করতে চাই।”
গতকাল বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক উদয়ন গুহ সীমান্তে মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ করেন, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিএসএফ যথাযথ নিয়ম মেনে চলা হয়। কোনও ধরনের দুবৃর্ব্যবহার বা অনুচিত আচরণকে হালকাভাবে নেওয়া হয় না। এই ধরনের কোনও অভিযোগ উঠলে তা খতিয়ে দেখা হয়, এবং অভিযোগ প্রমাণ হলে কঠোরতম পদক্ষেপ করা হয়। এছাড়াও পুলিশের কাছে গিয়ে আমরাই অভিযোগ জানাই। যে অভিযোগ উঠেছে, সেটি সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের চার হাজারের বেশি মহিলা জওয়ান রয়েছেন। সীমান্ত এলাকায় সমস্ত প্রবেশ পথে সিসিটিভি ক্যামেরাও লাগানো রয়েছে।”
উল্লেখ্য, গতকালই পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, “রাজ্যের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই রাজ্যের সীমান্তে নজরদারি চালানোর লক্ষ্য়ে বিএসএফ-এর এলাকা ১৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। আমরা মনে করি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্ব রাজ্যের। যে কোনও অপরাধের তদন্ত করার অধিকার একমাত্র রাজ্য পুলিশের হাতে। এটা সংবিধানের সপ্তম ধারায় বলা আছে। কেন্দ্রের নয়া নির্দেশে উত্তরবঙ্গের সিংহভাগ, বাংলার ৩৭ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে। অর্থাৎ পিছন দরজা দিয়ে কেন্দ্রীয় শাসনের যে ইঙ্গিত বিজ্ঞপ্তিতে আছে, আমরা তার বিরোধিতা করছি।”
পাল্টা জবাবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘জঙ্গলমহল, দার্জিলিংয়ে রাজ্যকে কারা রক্ষা করেছিল?’ রাজ্যের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘পুলিশের ক্ষমতা কোথাও কি খর্ব হয়েছে? আমাদের রাজ্যে পুলিশ ও বিএসএফ যৌথভাবে কাজ করলে ভালোই হবে।’ কিছুদিন আগেই খড়দহে বাংলাদেশি ভোটার ধরা পড়া ও সুভাষগ্রামে জেএমবি জঙ্গি ধরা পড়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রকে বলব বিএসএফের অধীন এলাকা বাড়িয়ে ৮০ কিলোমিটার করা হোক।’ তাঁর দাবি, খোঁজ নিলে দেখা যাবে, অনেক রোহিঙ্গা ঢুকে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।
কলকাতা: বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি (BSF Jurisdiction Extention) নিয়ে উত্তাল হয়েছিল গতকালের বিধানসভা। বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক উদয়ন গুহ। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হওয়ায় এ বার সাংবাদিক বৈঠক করে সাফাই দিল বিএফএফ (BSF)। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্ষমতা সম্পর্কে এডিজি ওয়াই বি খুরানিয়া (YB Khurania) বলেন, “বিএসএফের প্রধান কাজ হল অনুপ্রবেশ রোখা। বিএসএফ কোনও তদন্তকারী সংস্থা নয়, তাই পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপ করার প্রসঙ্গই ওঠে না। রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলে বিএসএফ।”
গত ২১ অক্টোবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Home Ministry) তরফে নির্দেশিকা জারি করে সীমান্ত লাগোয়া একাধিক রাজ্যে বিএসএফের এক্তিয়ার ১৫ কিমি থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিমি করা হয়। এরপরই বিতর্ক শুরু হয়। পঞ্জাব(Punjab)-র পর পশ্চিমবঙ্গেও শাসক দল দাবি করে, বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির ফলে এবার রাজ্যে পুলিশ প্রশাসনের কাজে হস্তক্ষেপ করবে। কেন্দ্রীয় সরকার বিএসএফের এলাকাবৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আদতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপরে আঘাত, এই মর্মেই সরকারি প্রস্তাব আনা হয় মঙ্গলবার। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১১২টি ও বিপক্ষে ভোট পড়ে ৬৩টি।
এই বিষয়ে আরও জলঘোলা হওয়ার আগেই এ দিন বিএসএফের তরফে এডিজি ওয়াই বি খুুরানিয়া সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “দেশের প্রতিরক্ষায় প্রথম সারিতে রয়েছে বিএসএফ। এর অন্যতম কাজ হল বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বজায় রাখা। বিএসএফের ক্ষমতা সীমীত। কেবলমাত্র তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত ও গ্রেফতার করতে পারে বিএসএফ। এটি কোনও তদন্তকারী দল নয়। সীমান্তে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাদের আটক বা গ্রেফতার করা হয়, তাদের সংশ্লিষ্ট বিচারবিভাগীয় সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়।”
সম্প্রতিই কেন্দ্রের তরফে পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও পঞ্জাবে বিএসএফের এক্তিয়ার ১৫ কিমি থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিমি করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” আমাদের রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। নিয়মিত আমরা যোগাযোগ বজায় রাখি, তথ্য ভাগ করে নিই এবং প্রয়োজন অনুযায়ী যৌথভাবে সীমান্তে ও রাজ্যের অন্দরে তল্লাশি অভিযানও চালাই। আমি সাফ জানিয়ে দিতে চাই যে, কেন্দ্রের নির্দেশিকায় পশ্চিমবঙ্গে বিএসএফের এক্তিয়ার ৫০ কিমি অবধি বাড়ানো হয়েছে। বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে যে, এ বার তদন্তের ক্ষমতা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে বিরোধ বাধতে পারে। আমি জানিয়ে দিতে চাই যে, বিএসএফের তদন্তের কোনও অধিকার নেই। এফআইআরও দায়ের করে না বিএসএফ। তল্লাশি অভিযানে যা কিছু আটক করা হয় বা গ্রেফতার করা হয়, তা রাজ্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর এফআইআর দায়ের করা থেকে পরবর্তী যাবতীয় পদক্ষেপ পুলিশেরই হয়। ১১ অক্টোবরের নির্দেশিকার পরও একই নিয়ম জারি রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিএসএফের ক্ষমতা এখনও আগের মতোই সীমীত রয়েছে। কেবল এক্তিয়ার ১৫ কিমি থেকে ৫০ কিমি করা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে যে তিনটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তার একটিতে সিআরপিসপির অধীনে তল্লাশি অভিযান, বাজেয়াপ্ত ও গ্রেফতার নিয়ে বলা হয়েছে। বাকি দুটিতে বিএসএফের ক্ষমতা নিয়ে বলা হয়েছে, যা হল অনুপ্রবেশকারীদের যাচাই করা ও প্রয়োজনে গ্রেফতার। নয়া নির্দেশিকায় বিএসএফের কোনও ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়নি। এই সম্পর্কে কোনও ভুল ধারণা থাকলে, আমরা তা দূর করতে চাই।”
গতকাল বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক উদয়ন গুহ সীমান্তে মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ করেন, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিএসএফ যথাযথ নিয়ম মেনে চলা হয়। কোনও ধরনের দুবৃর্ব্যবহার বা অনুচিত আচরণকে হালকাভাবে নেওয়া হয় না। এই ধরনের কোনও অভিযোগ উঠলে তা খতিয়ে দেখা হয়, এবং অভিযোগ প্রমাণ হলে কঠোরতম পদক্ষেপ করা হয়। এছাড়াও পুলিশের কাছে গিয়ে আমরাই অভিযোগ জানাই। যে অভিযোগ উঠেছে, সেটি সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের চার হাজারের বেশি মহিলা জওয়ান রয়েছেন। সীমান্ত এলাকায় সমস্ত প্রবেশ পথে সিসিটিভি ক্যামেরাও লাগানো রয়েছে।”
উল্লেখ্য, গতকালই পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, “রাজ্যের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই রাজ্যের সীমান্তে নজরদারি চালানোর লক্ষ্য়ে বিএসএফ-এর এলাকা ১৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। আমরা মনে করি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্ব রাজ্যের। যে কোনও অপরাধের তদন্ত করার অধিকার একমাত্র রাজ্য পুলিশের হাতে। এটা সংবিধানের সপ্তম ধারায় বলা আছে। কেন্দ্রের নয়া নির্দেশে উত্তরবঙ্গের সিংহভাগ, বাংলার ৩৭ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে। অর্থাৎ পিছন দরজা দিয়ে কেন্দ্রীয় শাসনের যে ইঙ্গিত বিজ্ঞপ্তিতে আছে, আমরা তার বিরোধিতা করছি।”
পাল্টা জবাবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘জঙ্গলমহল, দার্জিলিংয়ে রাজ্যকে কারা রক্ষা করেছিল?’ রাজ্যের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘পুলিশের ক্ষমতা কোথাও কি খর্ব হয়েছে? আমাদের রাজ্যে পুলিশ ও বিএসএফ যৌথভাবে কাজ করলে ভালোই হবে।’ কিছুদিন আগেই খড়দহে বাংলাদেশি ভোটার ধরা পড়া ও সুভাষগ্রামে জেএমবি জঙ্গি ধরা পড়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রকে বলব বিএসএফের অধীন এলাকা বাড়িয়ে ৮০ কিলোমিটার করা হোক।’ তাঁর দাবি, খোঁজ নিলে দেখা যাবে, অনেক রোহিঙ্গা ঢুকে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।