কলকাতা: সিঙ্গুরে গাড়ি তৈরির কারখানা তৈরি করে বাংলায় উন্নয়নের জোয়ার আনবেন, এমনটাই ভেবেছিলেন বুদ্ধবাবু। সব প্রক্রিয়া এগোচ্ছিল পরিকল্পনামাফিক। বাকি ইতিহাস সবারই জানা। কারখানা তৈরি হওয়ার পরও বিদায় নিতে হয় টাটা গোষ্ঠীকে। ২০০৮ সালে টাটা তো বিদায় নেয়! আর তার ঠিক তিন বছর বাদে রাজ্যের ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয় বামফ্রন্ট সরকারকে। ২০১১ সালে অর্থাৎ যে বছর বামেরা ক্ষমতাচ্যুত হয়, সেই বছরই কার্যত ভুল স্বীকার করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
২০১১ সালের এপ্রিলে, যে মাসে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন হয়, সেই সময়েই ভুলের কথা বলেন বর্ষীয়ান বাম নেতা। এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বুদ্ধবাবু বলেন, “আমি ভেবেছিলাম, এতবড় একটা কারখানা যখন হয়ে গিয়েছে, তখন আর একটু ধৈর্য আমরা ধরতে পারি না? কিন্তু বিরোধীরা আমাদের গুরুত্ব দেয়নি, সম্মান দেয়নি। আমাকে সম্মান দেওয়া তো দূরের কথা, রাজ্যের স্বার্থকেও সম্মান দেওয়া হয়নি, ‘টাটা’ চলে যাওয়ার পর তো রাজ্যের স্বার্থের ক্ষতি হল।” বিরোধীদের ওপর এ ভাবে ভরসা করা ভুল ছিল বলেই দাবি করেছিলেন বুদ্ধবাবু। তিনি আরও বলেছিলেন, “এই ভুল আমি আর করব না। আমার শিক্ষা হয়ে গিয়েছে।”
শুধু তাই নয়, পুলিশকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটাও ভুল ছিল বলেই কার্যত স্বীকার করেছিলেন তিনি। সেই ভুল সংশোধন করার কথাও বলেছিলেন সংবাদমাধ্যমে। ২০১১ সালেই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন, নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুরে যে ঘটনা ঘটেছে, তার বড়সড় প্রভাব পড়তে চলেছে বিধানসভা ভোটে। NDTV-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও উল্লেখ করেছিলেন যে জমি অধিগ্রহণ নীতি ঠিক না থাকায় গ্রামের মানুষের মধ্য অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। সেই নীতি নতুন করে তৈরি করার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।