Online Medicines : অনলাইনে ওষুধ দেখে কিনছেন তো? বিপদের আশঙ্কায় বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Feb 10, 2023 | 8:12 PM

Online Medicines : চিকিৎসকের (Doctor) প্রেসক্রিশন ছাড়াই দেদার চলছে ওষুধের বিক্রি। এমনকী অনলাইন কনসালটেন্সির নামে ওষুধ বিক্রির অভিযোগও জমা পড়েছে।

Online Medicines : অনলাইনে ওষুধ দেখে কিনছেন তো? বিপদের আশঙ্কায় বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

Follow Us

কলকাতা : কালের অগ্রগতির সঙ্গে মুঠোফোনে আটকে পড়েছে মানবজীবন। খাবার হোক বা নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী, সবকিছু কিনতেই মানুষ এখন দ্বারস্থ হচ্ছেন ইন্টারনেটের দুয়ারে। ভরসা একাধিক অ্যাপ। এমনকী বর্তমানে ওষুধ কিনতেও উত্তর উত্তর চাহিদা বাড়ছে একাধিক অ্যাপের। অনেকেই অফিস-কাছারিতে ব্যস্ততার কারণে দোকানে না গিয়ে অনলাইনে একাধিক অ্যাপ থেকে ওষুধ কিনে থাকেন। কিন্তু, আপনি কী জানেন অনলাইনে ওষুধ বিক্রি করেন যে সমস্ত বিখ্যাত সংস্থা তাদের লাইসেন্সই নেই। যা নিয়ে এবার কেন্দ্র কড়া নোটিসও পাঠিয়ে দিয়েছে। 

বর্তমানে হাতের কাছে রয়েছে একাধিক সংস্থা। যাদের অ্যাপে প্রেসক্রিপশন আপলোড করে দিলেই ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে ওষুধ। অনেক ক্ষেত্রেই আবার প্রেসক্রিপশনেরও প্রয়োজন পড়ে না। অধিকাংশ অ্যাপেই চটজলদি ওষুধ ডেলিভারির গ্যারেন্টি। যতদিন যাচ্ছে ততই ভারতে অনলাইন ওষুধের বাজারও দ্রুত হারে বাড়ছে। এদিকে এ নিয়ে নজরদারি এখনও খুব একটা জোরদার নয়। ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকারকে সতর্ক করেছিল দিল্লি আদালত। এখন ২০২৩। কিছুটা দেরিতে হলেও অনলাইনে ওষুধ বিক্রির প্রবণতায় রাশ টানতে উদ্যোগী হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ, সম্প্রতি অনলাইনে ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে একাধিক অনিয়ম কেন্দ্রের নজরে এসেছে। এ ক্ষেত্রে দু ধরণের অনিয়ম নজরে এসেছে সেন্ট্রাল ড্রাগ স্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের। অভিযোগ, অনেক সংস্থাই লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ বিক্রি করছে। কয়েকটি সংস্থা আবার অনুমতির তোয়াক্কা না করেই ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। 

এমনকী চিকিৎসকের প্রেসক্রিশন ছাড়াই দেদার চলছে ওষুধের বিক্রি। এমনকী অনলাইন কনসালটেন্সির নামে ওষুধ বিক্রির অভিযোগ জমা পড়েছে। জীবনদায়ী ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগ সামনে এসেছে। এদিকে অনলাইনে ওষুধ বিক্রির ব্যবসা শুরু করেছিল দেশের বড়বড় শিল্পপতিদের গোষ্ঠী। অভিযোগ, ই-মার্কেটের যে সব ওষুধ বাড়িতে ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে অনেক ওষুধই আবার জাল বের হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকেই লাগাতার এসেছে এই অভিযোগ। এমনকী যুব সমাজের কাছে সমস্ত নেশার দ্রব্য রয়েছে সেগুলি অনলাইনের ওষুধের মাধ্যমে আরও সহজলভ্য হয়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ ওঠে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যেরে একাধিক হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলাও। এরপরই কেন্দ্রীয় সরকার জারি করল বিজ্ঞপ্তি। যাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোন পদ্ধতিতে তাঁরা ব্যবসা করছেন তাঁর বিবরণ দিতে হবে সরকারকে।

একাধিক নামজাদা সংস্থাকে শো-কজ 

ইতিমধ্যে অনিয়মের ঘটনায় দেশের বেশ কয়েকটি নামজাদা সংস্থাকে নোটিস ধরিয়েছে সেন্ট্রাল ড্রাগ স্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন। শো-কজ করা হয়েছে কুড়ির বেশি সংস্থাকে। তাঁদের জবাব সন্তোষজনক না হলে পড়তে হতে পারে বড় জরিমানার মুখে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ তথা চিকিৎসক সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের টনক নড়েছে। সাধারণত স্বাস্থ্যক্ষেত্রের ছোটখাটো ব্যাপারগুলিতে তো কারও নজর পড়ে না। কেন্দ্র-রাজ্য কারোরই টনক নড়ে না। এখন টনক নড়েছে। এরপর ফল কী হয় এখন সেটাই দেখার।” 

Next Article