কলকাতা: মন্ত্রিসভায় জায়গা পেল একগুচ্ছ নতুন মুখ। পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বাবুল সুপ্রিয়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পার্থ ভৌমিক, প্রদীপ মজুমদার ও উদয়ন গুহ। এ ছাড়া, স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বীরবাহা হাঁসদা ও বিপ্লব রায়চৌধুরী। এ ছাড়া তাজমুল হোসেন ও সত্যজিৎ বর্মণ শপথ নিলেন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, স্পিকার বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে শপথ নিলেন নতুন মন্ত্রীরা। শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল লা গণেশন।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করার পর রদবদলের জল্পনা শুরু হয়। এরপর ১ অগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, মন্ত্রিসভায় রদবদল হবে। কয়েকজন নতুন মুখ যে মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারে, এ কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। শুধুমাত্র পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের হাতেই ছিল তিনটি দফতর। এ ছাড়া সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর অনেক দফতর ফাঁকা পড়ে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। মমতার ঘোষণার পর থেকেই সম্ভাব্য নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। পার্থ-অস্বস্তি কাটাতে মন্ত্রিসভা সাজানো হচ্ছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
বাবুল সুপ্রিয় সহ বেশ কয়েকটি নাম নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা। রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, যে সব বিধায়কের গায়ে কোনও দুর্নীতির দাগ নেই, তাঁদেরই মূলত মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হবে। বাবুল সুপ্রিয়, স্নেহাশিস চক্রবর্তীর নাম নিয়ে জল্পনা ছিল। এ ছাড়া পার্থ ভৌমিককে যে মন্ত্রী করা হবে, সেটাও অনুমান করা যাচ্ছিল। পরপর কয়েকবার বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও মন্ত্রিসভায় তিনি কখনও জায়গা পাননি।
তবে, কাকে কোন দফতর দেওয়া হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে যে তিন দফতর ছিল, আপাতত তার দায়িত্ব নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। সেই দফতরগুলি বন্টন করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এ ছাড়া সাধন পাণ্ডের মৃ্ত্যুর পর থেকে ফাঁকা রয়েছে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর।