কলকাতা: ডিসেম্বর পড়তেই কমছে তামপাত্রার পারা। শীতের চাদরে গায়ে জড়িয়ে ইতিমধ্যেই বড়দিনের প্রস্তুতি শুরু করে গিয়েছে বাঙালি। আর বড়দিন মানেই যে কেক। নানা প্রকারের কেক নিয়ে তুমুল উন্মদনা দেখা যায় কচিকাঁচাদের মধ্যে। কিন্তু, মূল্যবৃদ্ধির নাগপাশে এবারে কেকের দামও (Cake prices in Christmas) বেশ খানিকটা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। দাম বৃদ্ধির কথা জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইতিমধ্যেই বিবৃতি প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বেকারি মালিকদের সংগঠন জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটিকে। এর জন্য কেক তৈরির কাঁচামালের চড়া দামকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।
জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির সম্পাদক বিধায়ক ইদ্রিস আলী এবং পশ্চিমবঙ্গ বেকার্স কো-অডিনেশন কমিটির সম্পাদক শেখ ইসমাইল হোসেন জানিয়েছেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর কেকের দাম বেশি থাকবে। তাঁরা বলেন, কেক প্রস্তুত করতে যে সমস্ত কাঁচামালের প্রয়োজন হয়, যেমন ময়দা,চিনি,ঘি ইত্যাদির দাম দিনের পর দিন অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাচ্ছে। দাম বাড়ছে আটার। কেক তৈরি করার জন্য কাঁচামালের দাম না কমলে কেকের দামও অচিরেই বাড়বে বলে জানানো হয়েছে। তাঁদের এ ঘোষণার পর মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। বড়দিনের আনন্দে মাতোয়ারে হতে কচিকাঁচাদের হাতে চড়া দামের কেক তুলে দিতে তাঁদের যে পকেটে রীতিমতো টান পড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে পাউরুটির দাম। আগে কলকাতায় এক পাউন্ড পাউরুটির দাম ছিল ২৮ টাকা। সেই পাউরুটির গাম বেড়ে হয়েছে ৩২ টাকা। কিছুদিন আগে ২০০ গ্রাম পাউরুটির দাম ছিল ১৪ টাকা, তা বেড়ে হয়েছে ১৬টাকা। ১০০ গ্রাম পাউরুটির দাম সাড়ে ৭টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে সাড়ে ৮ টাকা। তবে অভিযোগ, অনেক জায়গাতেই বাড়তি দামে পাউরুটি দেওয়া হলে ওজন ঠিক থাকছে না। ১০০ গ্রামের জায়গায় অনেক জায়গাতেই ৭০-৮০ গ্রামের পাউরুটি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়েও জোরালও আওয়াজ তোলা হয়েছে ইদ্রিস-ইসমাইলদের তরফে। দূর্নীতিগ্রস্ত পাউরুটি প্রস্ততকারী মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করার আবেদন জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে। আবেদন করা হয়েছে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর ও পুলিশের কাছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে পাউরুটি ও কেকের ওজন দেখে কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।