কলকাতা: রাজ্যের একাধিক কলেজে অনেক সময় র্যাগিং-এর অভিযোগ উঠেছে। আর সেই সব অভিযোহের সঙ্গে নতুন যে সংযোজন হয়েছে, তা হল ‘থ্রেট কালচার’। সম্প্রতি আরজি কর-কাণ্ডের পর বিষয়টি প্রকট হয় আরও। উঠে আসে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে চলা সেই ‘থ্রেট কালচার’-এর কাহিনি। এবার সেই ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে রাজ্যের এক মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে কড়া বার্তা দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনার বেশ কিছুদিন পর, গত ১১ সেপ্টেম্বর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সাত চিকিৎসককে সাসপেন্ড করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। আদালতের দ্বারস্থ হন ওই ৭ চিকিৎসক। আজ, শুক্রবার ছিল সেই মামলায় শুনানি।
এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মন্তব্য করেন, কড়া রোদের নীচে পার্টির অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য বাধ্য করা হত পড়ুয়াদের। এই ধরনের মারাত্মক অভিযোগ আছে। এটা তো নিশ্চিতভাবে র্যাগিং-এর ঘটনা। আরও বেশ কিছু মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে বলেও জানান তিনি।
থ্রেট কালচার সংক্রান্ত এই মামলায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজকে এদিন কড়া বার্তা দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, আপনারা যদি ইউজিসি-র গাইডলাইন মেনে কাজ না করেন তাহলে তো আদালতকে পদক্ষেপ করতে হবে। আগামী ১১ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।