কলকাতা : হাওড়ার মঙ্গলা হাট নিয়ে হাওড়া পুরনিগমের (Howrah Municipal Corporation) কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। উল্লেখ্য, এশিয়ার বৃহত্তম হাট এটি। হাওড়ার এই মঙ্গলা হাটের স্থান পরিবর্তন করা প্রয়োজন, এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। আবেদনকারীর বক্তব্য, হাওড়া হাসপাতাল, প্রশাসনিক ভবন ও আদালতের সামনেই বসে এই বিশাল হাট। ফলে সপ্তাহে তিন দিন এই হাটকে কেন্দ্র করে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। সেই কারণেই হাটের স্থানান্তরের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন আবেদনকারী। নিজের দাবির সমর্থনে, মঙ্গলা হাটের সেই জন সমাগমের ছবিও আদালতে পেশ করেন আবেদনকারী।
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঙ্গলবার এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, এশিয়ার বৃহত্তম হাটের দায়ভার কার উপর? আবেদনকারীর আইনজীবী জবাবে জানান, হাটের তত্ত্বাবধানে রয়েছে হাওড়া পুরনিগম। এরপরই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ৩ সপ্তাহের মধ্যে হাওড়া মঙ্গলা হাট নিয়ে রিপোর্ট জমা করতে হবে পুরনিগমকে। ৪ সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলা হাট এশিয়ার বৃহত্তম পাইকারি পোশাকের বাজার। সপ্তাহে তিন দিন বসে এই হাট। আর যে জায়গায় হাটটি বসে, সেটি এমনিতেই অত্যন্ত জনবহুল একটি এলাকা। হাওড়া হাসপাতাল, প্রশাসনকি ভবন, আদালত – সব রয়েছে এই চত্বরেই। তার উপর হাট বসার ফলে সপ্তাহে তিন দিন অত্যাধিক মাত্রায় জন সমাগম হয় এই এলাকায়। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এই চিত্র স্বাভাবিকভাবেই বেশ উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন অনেকে। এই ধরনের জনবহুল এলাকায় হাট খোলা থাকলে, তা কার্যত সুপার স্প্রেডারের ভূমিকায় উঠে আসার প্রবল সম্ভাবনা থেকে যায়। এই পরিস্থিতিতে হাটটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে আদালতে।
এর আগে হাওড়া জেলা প্রশাসনের তরফে মঙ্গলা হাট এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে বাধ সাধেন এলাকার ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের একাংশ জোর করে হাট চত্বরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। পুলিশের সঙ্গে তাতে এক প্রস্থ ধস্তাধস্তিও হয়েছিল। পরে হাট খোলার দাবিতে পথ অবরোধও হয়েছিল হাওড়া ময়দানে। এই পরিস্থিতিতে পুরনিগমের তরফে ব্যবাসায়ীদের বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষে সপ্তাহে তিন দিন – রবি, সোম ও মঙ্গল বার হাট খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।