কলকাতা : প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় প্রাপ্ত বাড়তি ১ নম্বর নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। এবার সেই ১ নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন ছিল কি না, তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। এই ১ নম্বরের জন্য কারা আবেদন করেছিল, সেই সব আবেদন পত্রও দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ইতিমধ্যেই এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবারের শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, আদালতের নজরদারিতেই যাতে তদন্ত হয়। এ দিকে, সিবিআই-এর জয়েন্ট ডিরেক্টর কেন তদন্তের দায়িত্ব নিচ্ছেন না সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি।
এই মামলায় ইতিমধ্যেই ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি। এ দিন আদালত জানতে চায়, প্রাথমিক বোর্ডের নিয়োগে সরকারি অনুমোদন ছিল কি না। বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, প্রশ্ন ভুল থাকায় ২৮৭ জনকে এক নম্বর করে বাড়ানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সরকারি সুপারিশ ছিল কি না, তা আগামী সোমবার জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির নির্দেশ।
পাশাপাশি, রাজ্যের প্রাথমিক বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সব আবেদন পত্র দেখাতে হবে আদালতে। বোর্ডের দাবি, ১ নম্বর বাড়ানোর জন্য ২৭৮৭ জন আবেদন করেছিলেন। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই এ দিন আবেদন পত্র দেখতে চায় আদালত।
এ ছাড়া, স্কুল শিক্ষা দফতরের যে কমিটি নিয়োগের সুপারিশ করেছিলে, সেই কমিটির ব্যাপারেও জানতে চায় আদালত। কবে এই কমিটি তৈরি হয়, সেই কমিটিতে কারা ছিলেন, তাঁদের নাম- সব জানাতে হবে আদালতে।
মামলার শুনানিতে এ দিন সিবিআই জানায়, সংস্থার জয়েন্ট ডিরেক্টর এই তদন্তে মনিটরিং করবেন অর্থাৎ নজর রাখবেন, কিন্তু তদন্ত পরিচালনা করবেন না। মোট ছ’জন এই মামলার তদন্ত করছেন। তাঁদের সুপারভাইজ করবেন জয়েন্ট ডিরেক্টর। কিন্তু তিনি কেন দায়িত্ব নিতে চাইছেন না? সেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। তিনি প্রশ্ন করেন, কোনও ইগো কাজ করছে কি? সিবিআই-এর বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটে থাকা ৬ জনের নামের তালিকা এ দিন দিয়েছে সিবিআই।