Calcutta High Court: ‘পুলিশ নিজের মতন করে বয়ান বলিয়ে নিয়েছে’, হাইকোর্টে আবারও ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য পুলিশ

Shrabanti Saha | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Feb 06, 2024 | 1:35 PM

Calcutta High Court: এর প্রেক্ষিতে মামলাকারীর আইনজীবী  রাজদীপ মজুমদার বলেন, "চিকিৎসক থেকে সাক্ষী - সবাইকে পুলিশ নিজের মতো করে বয়ান বলিয়ে নিয়েছে। তাই ভিডিয়োগ্রাফ করা হয়নি। আর ঠিক একই কারণে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়নি।

Calcutta High Court: পুলিশ নিজের মতন করে বয়ান বলিয়ে নিয়েছে,  হাইকোর্টে আবারও ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য পুলিশ
বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: বিষ্ণুপুরের বিজেপি নেতার রহস্যমৃত্যুতে আবারও কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসিত রাজ্য পুলিশ। বিষ্ণুপুরের বিজেপি নেতা ভোলানাথ মণ্ডলের রহস্যমৃত্যু মামলা  কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে মামলার শুনানি ছিল। তিনি পুলিশি  তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এই মামলায় বিচারপতি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ,  প্রয়োজনে তদন্ত দেওয়া হবে অন্য তদন্তকারী সংস্থাকে।

এদিনের শুনানিতে বিচারপতি বলেন, “একজন চিকিৎসকের ১৬১ ধারায় পুলিশ জবানবন্দি নিয়েছে। কিন্তু সেই বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে মামলাকারীর।” মামলাকারীর বক্তব্য,  বয়ান গ্রহণের কোনও ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হয়নি। কেনো করা হয়নি সেটা স্পষ্ট নয়। তদন্তকারী অফিসার, DSP কে স্বচ্ছ ভাবে ভরসা যোগ্য তদন্ত করতে হবে।”

বিচারপতি বলেন, “মামলাকারীদের প্রশ্নে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে, তাই পুলিশ স্বচ্ছভাবে, বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করে আগামী শুনানিতে রিপোর্ট দেবে। না হলে অন্য এজেন্সিকে তদন্তের দায়িত্ব দেবে আদালত।”

এর প্রেক্ষিতে মামলাকারীর আইনজীবী  রাজদীপ মজুমদার বলেন, “চিকিৎসক থেকে সাক্ষী – সবাইকে পুলিশ নিজের মতো করে বয়ান বলিয়ে নিয়েছে। তাই ভিডিয়োগ্রাফ করা হয়নি। আর ঠিক একই কারণে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়নি। উল্টে সাক্ষীদের ভয় দেখাতে কোনও কারণ ছাড়াই নোটিস পাঠিয়ে চাপে রাখছে পুলিশ।”

রাজ্যের তরফে অবশ্য বলা হয়, “কোর্টের নির্দেশ মতো আমরা সব তদন্ত করছি। এখানে একটা অসুস্থ লোকের মৃত্যুকে রাজনীতির মোড়ক দিতে গিয়ে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।”  যদিও বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন, এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ মার্চ। তার আগে মামলাকারী তাঁদের যাবতীয় অভিযোগ নিয়ে হলফনামা  জমা দেবে।

প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর ১ ব্লকের দড়িকাওয়াডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০৯ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন ভোলানাথ মণ্ডল। নির্বাচনের পর ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা কালীন তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবার ও বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, তৃণমূলের মারের ফলেই মৃত্যু হয়েছে ওই ভোলানাথের। যদিও হাসপাতালের তরফে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে বলা হয়, লিভারজনিত সমস্যার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ভোলানাথের। যদিও হাইকোর্টে সেই রিপোর্টের যথার্থতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

Next Article