High Court: ‘বিষয়টি তুললে আপনাদের আরও লজ্জায় পড়তে হবে’, ‘বিরক্ত’ হয়ে রাজ্যকে বললেন প্রধান বিচারপতি

High Court: রাজ্যের আবেদন, পিয়ারলেস হোটেলের সামনে ধরনা করা যাবে না। ওয়াই চ্যানেলের সামনে ধরনায় বসা যেতে পারে। পাশাপাশি, ধরনার দিন সংখ্যা কমিয়ে দু'দিন করার আবেদনও জানিয়েছেন রাজ্যের আইনজীবী অমল সেন। রাজ্যের তরফে এই বিষয়ে কিছু যুক্তিও দেওয়া হয়েছে।

High Court: 'বিষয়টি তুললে আপনাদের আরও লজ্জায় পড়তে হবে', 'বিরক্ত' হয়ে রাজ্যকে বললেন প্রধান বিচারপতি
ফের হাইকোর্টের তোপের মুখে রাজ্যImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2024 | 12:33 PM

কলকাতা: রাজ্য জুড়ে একাধিক মিছিল আর বনধ নিয়ে বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। রাজ্যের আচরণ নিয়েই প্রশ্ন তুললেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। একই সঙ্গে বাতিল করা হল রাজ্যের আবেদন। বুধবার ছিল বনধ, আর আজ বৃহস্পতিবার থেকে বিজেপির ধরনা শুরু হয়েছে। সেই ধরনা মঞ্চ কোথায় হবে, তা নিয়েই এই মামলা। বিজেপি যেখানে মঞ্চ তৈরি করেছে, সেই জায়গা নিয়ে আপত্তি আছে রাজ্য সরকারের।

রাজ্যের আবেদন, পিয়ারলেস হোটেলের সামনে ধরনা করা যাবে না। ওয়াই চ্যানেলের সামনে ধরনায় বসা যেতে পারে। পাশাপাশি, ধরনার দিন সংখ্যা কমিয়ে দু’দিন করার আবেদনও জানিয়েছেন রাজ্যের আইনজীবী অমল সেন। রাজ্যের যুক্তি, আট দিন ধরে ধরনা হলে রাস্তা ব্লক হবে, তাই আবেদন জানানো হচ্ছে।

তবে রাজ্যের যুক্তি শুনে প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, “গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে কিছু মানুষের মনে। ক্ষততে প্রলেপ লাগানোর জন্য কিছু করুন। নতুন করে আঘাত দিয়ে এমন কিছু করবেন না যাতে সেটা বেড়ে যায়। বিক্ষুব্ধ মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। তাদের ভাল ভাবে বোঝানোর ব্যবস্থা করুন।”

এই খবরটিও পড়ুন

বারবার এই ধরনের মামলা নিয়েও কার্যত বিরক্তি প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি। তিনি সরাসরি রাজ্যের আইনজীবীকে এদিন বলেন, ‘আপনি নিজে হ্যান্ডেল করুন। মামলা করলে খারিজ করে দেব। আমরা দেখেছি আপনাদের পদ্ধতি। যেখানে ডান হাতে কাজ হয় না, সেখান বাম হাত ব্যবহার করেন। বিষয়টি তুললে আরও লজ্জায় পড়তে হবে আপনাদের।’

রাজ্য জুড়ে, বিশেষত কলকাতা শহরে যেভাবে নিত্যদিন মিছিল লেগে রয়েছে, সেই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এক পক্ষ বিচার করলে হবে না, উভয় পক্ষেই হয়েছে।’ প্রধান বিচারপতি বলেন, “একটা মিছিলই যথেষ্ট। আমি নিজেও এই জ্যামে আটকে গিয়েছি বহুবার। এসবের জন্য স্কুলও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই হচ্ছে।”