Mamata Banerjee: ‘আমিই দশ বছর দল চালাব’, দলের ‘সংখ্যালঘু’দের বড় বার্তা দিলেন মমতা
Mamata Banerjee: বুধবার কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনের পর পূর্ব মেদিনীপুরের বিধায়কদের সঙ্গে ফোনে পাঁচ মিনিট কথা বলেন মমতা। তার মধ্যেও তিনি বলেছেন, "যে যাই ভাবুন, আমিই দলের চেয়ারপার্সন, আমিই দল চালাব। দশ বছর চালাব।" এই কথাটি রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
কলকাতা: “আমিই চেয়ারপার্সন, আমিই দশ বছর দল চালাব।” পূর্ব মেদিনীপুরের বিধায়ক নেতাদের ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের বৈঠকে ফোনে বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। এর আগে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দেন, দলের রাশ তাঁরই হাতে রয়েছে।
কালীঘাটের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে প্রবীণদের বিশেষভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। সেই বৈঠকেও মমতা বলেছিলেন, তিনিই চেয়ারপার্সন, তিনিই দল চালাবেন। এর পরবর্তী সময়ে বিধানসভায় বিধায়কদের নিয়ে আবারও বসেছিলেন তিনি। সেখানেও তিনি বলেছিলেন, ‘আমি ও বক্সী দা দল দেখে নেব।’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বার্তার একটাই সারবত্তা, যে দল দেখে নেওয়ার ব্যাপারে প্রবীণদের প্রাধান্য দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনের পর পূর্ব মেদিনীপুরের বিধায়কদের সঙ্গে ফোনে পাঁচ মিনিট কথা বলেন মমতা। তার মধ্যেও তিনি বলেছেন, “যে যাই ভাবুন, আমিই দলের চেয়ারপার্সন, আমিই দল চালাব। দশ বছর চালাব।” এই কথাটি রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
তৃণমূলে ‘নবীন বনাম প্রবীণ’ লড়াই নতুন নয়। ২০২১ সালে দল তৃতীয় বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে পরেই। তা বড় আকার নেয় গত লোকসভা নির্বাচনের আগে। ২০২৪ সালেও তৃণমূলের অন্দরেও এই ‘লড়াই’ নিয়ে তুমুল চর্চা হয় রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস ১ জানুয়ারি নানা নেতার নানা মন্তব্যে আলোড়িত হয়েছিল শাসকদলের গোষ্ঠী রাজনীতি। এর মধ্যে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বলতে শোনা গিয়েছে, “আমি মনে করি, রাজনীতিতে একটা ঊর্ধ্বসীমা থাকা দরকার। যে পরিশ্রমটা একজন ৪০ বছরের যুবক কিংবা ৫০ বছরের লোক করতে পারবে, সেটা কোনওদিন বয়স বেড়ে গেলে ৭০-৭৫ হয়ে গেলে প্রোডাকভিটি কমে। আর আমি যদি ভাবি, দীর্ঘদিন আমি ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখব, তার পতন অবসম্ভাবী।”
কিন্তু বয়স ইস্যু আগেও উড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “কীসের বয়স? মানুষের মনের কি কোনও বয়স আছে? যতদিন বাঁচবেন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মতো বাঁচবেন।”
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে শোরগোল বিরোধী শিবিরেও। বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এখন বলছেন দশ বছর দল চালাব। আসলে তাঁর কাছে যে চ্যালেঞ্জটা এসেছে, দলের অধিকার নিয়েছে, এখন মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার চেয়েছেন। বিরোধ তা নিয়েই। নিহাতই পারিবারিক ঝগড়া ক্ষমতা দখলের।”
অন্যদিকে, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী দলে আনচ্যালেঞ্জড নন, এটা বুঝে গিয়েছেন বলেই দলে বারবার বার্তা দিচ্ছেন। ”