EXCLUSIVE: ‘এত নিরাপত্তা পেরিয়ে কী করে হল!’, সইফের বাড়ি যাওয়ার অভিজ্ঞতাই বললেন অভিষেক
Saif Ali Khan-Avishek: বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তোলপাড় মায়ানগরী। নিজের বাড়িতেই সইফ আলি খানকে একের পর এক কোপ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির। খবরটা আসার পর থেকেই কলকাতায় বসে রীতিমতো কাঁপছেন নায়কের ব্যক্তিগত ডিজ়াইনার অভিষেক রায়। বছর খানেক হল নায়কের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তোলপাড় মায়ানগরী। নিজের বাড়িতেই সইফ আলি খানকে একের পর এক কোপ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির। খবরটা আসার পর থেকেই কলকাতায় বসে রীতিমতো কাঁপছেন নায়কের ব্যক্তিগত ডিজ়াইনার অভিষেক রায়। বছর খানেক হল নায়কের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। অভিষেকের ডিজাইন করা পোশাকেই সারাক্ষণ দেখা যায় তাঁকে। মুম্বইয়ে সইফ-করিনার বাড়িতে তাঁর নিত্য যাতায়াত। TV9 বাংলাকে অভিষেক জানালেন তিনি এখনও বুঝতে পারছেন না কী করে একজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি এত নজর এড়িয়ে নায়কের বাড়িতে ঢুকে পড়তে পারেন। এ প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “বান্দ্রার একটি আবাসনে তিনটি ফ্লোর নিয়ে থাকেন সইফ এবং করিনা। ১০, ১১,১২— এই তিন তলা জুড়ে তাঁদের সব কিছু।” সইফের অন্দরমহল অনেকটাই তাঁর চেনা।
অভিষেক বলেন, “বাড়ির যে জায়গায় সইফকে মারা হয়েছে হয়তো সেখানেও গিয়েছি কোনও না কোনও দিন। তাই ভেবে আশ্চর্য হচ্ছি ওখানে কেউ কী ভাবে পৌঁছবে। কারণ সইফ এবং তাঁর পরিবার থাকে ১০ তলায়। ১১ তলায় তাঁদের ড্রইংরুম, অফিস, ডাইনিং সব কিছু। ১২ তলায় রয়েছে জিম এবং বাকি অন্যান্য ঘর। সইফের বেডরুম সংলগ্ন একটি বারান্দা রয়েছে। মনে হচ্ছে ওই দিক দিয়ে ঢুকলেও কেউ ঢুকতে পারে। কিন্তু ওই ১১-১২ তলায় ওঠা তো খুবই কঠিন ব্যাপার।” তাই নায়কের ডিজাইনার এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না এত নিরাপত্তারক্ষী পেরিয়ে কী করে কেউ ঢুকে পড়তে পারে।
অভিষেক বলেন, “আমার সঙ্গে হরির (সইফের ছায়াসঙ্গী) কথা হল গতকাল (বুধবার) সন্ধ্য়া পর্যন্ত তো সইফ শুটিং করেছে। হঠাত্ যে কী হয়ে গেল। আমায় হরি জানিয়েছে শিরদাঁড়ার পাশে যে ক্ষত হয়েছে সেখানকার অস্ত্রোপচার হয়ে গিয়েছে। অনেকটাই বিপদ কেটেছে। কিন্তু এখনও অপারেশন থিয়েটারেই আছেন। আরও কিছু জায়গায় ক্ষত আছে। উনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন এটাই খালি ভাবছি।” উল্লেখ্য, ডিজাইনারের দাবি, সইফই তাঁর ব্র্যান্ডের লোগো পছন্দও করে দিয়েছে। কলকাতার বাজার থেকে বেরিয়ে গ্লোবাল মার্কেটে নিজেকে কী করে প্রতিষ্ঠা করবেন তিনি অভিষেকের ফ্রেন্ড, ফিলোজফর এবং গাইড এখন সইফই।