House broke down: আবাস যোজনার ঘর তৈরির জন্য থাকছিলেন কাঁচা বাড়িতে, সেই বাড়ি ভেঙে মৃত্যু ২ জনের
Bankura: গতকাল গভীর রাতে যখন ওই ঝিটেবেড়ার ঘরে উজ্জ্বলা হাজরা নিজের নাতি দেব কেওড়াকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকাই ঝিটে বেড়ার ঘর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। আর তাতেই চাপা পড়ে মৃত্যু হয় দু'জনের।
বাঁকুড়া: আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি তৈরির কাজ চলছিল। তাই উঠোনেরই একপাশে থাকা ঝিটেবেড়ার (মাটির বাড়ি) বাড়িতে সাময়িকভাবে উঠে এসেছিলেন পরিবারের লোকজন। গভীর রাতে সেই মাটির বাড়ি ধসে মৃত্যু হল পরিবারের দুই সদস্যের। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ইন্দাস নন্দীপাড়া । পুলিশ জানিয়েছে মৃতদের নাম উজ্জ্বলা হাজরা ও দেব কেওড়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্দাস নন্দীপাড়া এলাকায় নিজেদের মাটির ঘরে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন উজ্জ্বলা হাজরা। সম্প্রতি আবাস প্রকল্পে বাড়ির বরাদ্দ টাকা পাওয়ায় তিনি নিজের ঘর ভেঙে পাকা ঘর তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। এই অবস্থায় সাময়িকভাবে বাড়ির উঠোনের একপাশে থাকা একটি মাটির ঘরে আশ্রয় নিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন।
গতকাল গভীর রাতে যখন ওই ঝিটেবেড়ার ঘরে উজ্জ্বলা হাজরা নিজের নাতি দেব কেওড়াকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকাই ঝিটে বেড়ার ঘর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। আর তাতেই চাপা পড়ে মৃত্যু হয় দু’জনের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, একটি পুকুরের জল তুলে ফেলার কাজ করছিলেন পুকুরের মালিক। পুকুরের সেচ করা জল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল উজ্জ্বলা হাজরার ঝিটেবেড়ার ঘরের পাশ দিয়ে। তাতেই ঘরের দেওয়াল ভিজে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গোটা ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী।
ঘটনার খবর পাওয়ার পরই এলাকায় পৌঁছন বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ প্রশাসনিক আধিকারিক ও পদাধিকারীরা। ইন্দাসের বিডিও সুরেন্দ্রনাথ পতি বলেন, “খুব ভোরে আমার কাছে খবর এসেছিল। তখন শুনি যে ঘর চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে। আমি এলাকায় গিয়ে জানতে পারি বাংলা আবাস যোজনার টাকা ওরা পেয়েছিলেন। সেই মতো বাড়ি তৈরি করা শুরু করেন। থাকছিলেন মাটির বাড়িতে। তখনই তা ধসে গিয়ে মৃত্যু হয় দুজনের।”