Calcutta High Court: নাবালিকা ধর্ষণে দোষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা কমাল হাইকোর্ট

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

May 16, 2022 | 10:35 PM

Calcutta High Court: ঘটনার সময় দোষীর বয়স সবে মাত্র ১৮ বছর পেরিয়েছিল। তার অতীতে কোনও অপরাধের রেকর্ড নেই। সে ইতিমধ্যেই সাজা ভুগছে। প্রায় ১৮ বছরের জন্য কারাদণ্ড কাটিয়ে ফেলেছে। সব দিক বিবেচনা করে আবেদনকারীর উপর আরোপিত সাজা সংশোধন করল কলকাতা হাইকোর্ট।

Calcutta High Court: নাবালিকা ধর্ষণে দোষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা কমাল হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল ছবি

Follow Us

কলকাতা : সাত বছর বয়সি এক নাবালিকার ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা কমাল কলকাতা হাইকোর্ট। দোষীর অতীতে কোনও অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার রেকর্ড নেই। তা ছাড়া, তিনি ইতিমধ্যেই প্রায় ১৮ বছরের কারাদণ্ড কাটিয়ে নিয়েছেন। সব দিক বিবেচনা করে সোমবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি বিভাস পট্টনায়ক এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিকে নিয়ে গঠিত একটি বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এই মামলাটিতে একজন নাবালিকা ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। সেই সময় অভিযুক্তেরও বয়স অনেক কম ছিল। ঘটনার সময় ১৮ বছরের থেকে সামান্য বেশি বয়স ছিল অভিযুক্ত যুবকের।

ওই দোষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা কমিয়ে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, “যদিও নির্যাতিতা একজন নাবালিকা এবং তাঁকে বলপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছিল, তবে আবেদনকারীর বয়সও সেই সময় সবে মাত্র ১৮ বছর পেরিয়েছিল। তার অতীতে কোনও অপরাধের রেকর্ড নেই। সে ইতিমধ্যেই সাজা ভুগছে। প্রায় ১৮ বছরের জন্য কারাদণ্ড কাটিয়ে ফেলেছে। সব দিক বিবেচনা করে আবেদনকারীর উপর আরোপিত সাজা সংশোধন করা হচ্ছে এবং নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যে তিনি তার উপর আরোপিত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পরিবর্তে ইতিমধ্যেই যে সময়ের জন্য কারাদণ্ড ভোগ করেছেন, ততটুকুই করবেন। সেই সঙ্গে ট্রায়াল কোর্ট থেকে যে অঙ্কের জরিমানা আরোপিত হয়েছে, তা জমা দেবেন। অনাদায়ে তাঁকে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।”

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৯ মে নিম্ন আদালতে ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (২) (এফ) ধারায় (একজন নারীর বয়স যখন ১২ বছরের কম, সেই সময় তাঁকে ধর্ষণ) ওই ব্যক্তিতে সাজা দেওয়া হয়েছিল। ওই নাবালিকাকে চা বাগানের ভিতরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযুক্ত উঠেছিল। নির্যাতিতার বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ঘটনার সময় নাবালিকার বাবা তাঁর স্ত্রী এবং নাবালক সন্তানদের নিয়ে বিচ চা বাগান এলাকায় তাঁর শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন। নাবালিকার কান্না শুনে তার মা ছুটে এসেছিলেন এবং নাবালিকা জখম অবস্থায় উদ্ধার করেন এবং তাঁর পোশাকেও রক্ত ছিল।

Next Article