কলকাতা: আদালত অবমাননার মামলায় বিশ্বভারতীর আচরণে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট। বিশ্বভারতীর মতো বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতির পীঠস্থানে আদালতের রায় অমান্য করা হতাশাজনক, মন্তব্য বিচারপতি সৌমেন সেনের। একই রকম অসন্তোষ রাজ্যের প্রতিও। অন্য একটি মামলায় রাজ্যের গা ছাড়া মনোভাব নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করে আদালত। আদালত অবমাননার মামলা যেন ছেলে খেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে, মন্তব্য ডিভিশন বেঞ্চের।
ঘটনার সূত্রপাত বিশ্বভারতীর একটি মামলা ঘিরে। বেতন আটকে দেওয়ায় বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে মামলা করেন এক অধ্যাপক। গত ২৪ ডিসেম্বর ওই অধ্যাপককে বকেয়া টাকা দিতে নির্দেশ দেয় আদালত। সেই নির্দেশ না মানায় ফের আদালত অবমাননার মামলা করেন তিনি। বৃহস্পতিবার আদালত নির্দেশ দেয়, এ বিষয়ে লিখিত বক্তব্য জানাতে হবে বিশ্বভারতীকে। আগামী ৫ মার্চ বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রারকে ওই ব্যাখ্যা নিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এদিন বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, আগেই ‘রুল’ জারি করত আদালত। শুধু কবিগুরুর স্বপ্নের শিক্ষাঙ্গনের সম্মানহানি হবে বলেই তা করা হয়নি। কিন্তু বিশ্বভারতী বাধ্য করছে এই পদক্ষেপ করতে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক বলেন, বিশ্বভারতীর এমন আচরণ অত্যন্ত হতাশাজনক।
আরও পড়ুন: বিজেপির প্রার্থী হতে চেয়ে এক মাসে ৩ হাজার আবেদন
একইভাবে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ব বিদ্যালয়ের এক চিকিৎসকের বেতন সংক্রান্ত একটি মামলায় রাজ্যের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, আদালত অবমাননা হলেই কোর্টে এসে দুঃখ প্রকাশ করে রাজ্য। আদালতে অন্তত ৫০ শতাংশ মামলাই আছে যেগুলি আদালত অবমাননার মামলা। রাজ্য আদালতকে ছেলে খেলার জায়গা ধরে নিয়েছে।