TET Scam: হাইকোর্টে হাজিরা ভিডিয়ো খ্যাত চন্দনের, মুখোমুখি উপেনও, জমা দিলেন নোট

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Jul 22, 2022 | 6:31 PM

Upen Biswas: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন আদালতে বলেন, "খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য এ দিন উপেন বিশ্বাস দিয়েছেন। সেগুলি সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত আছে। এই নোটের উপর সিবিআই তদন্ত করবে।"

TET Scam: হাইকোর্টে হাজিরা ভিডিয়ো খ্যাত চন্দনের, মুখোমুখি উপেনও, জমা দিলেন নোট
কলকাতা হাইকোর্ট

Follow Us

কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যখন উপেন বিশ্বাসের ভিডিয়ো খ্যাত ‘রঞ্জন’ ওরফে চন্দন মণ্ডলের বাড়িতে ইডি হানা দিয়েছে, তখন সেই চন্দন হাজির হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। আদালতে হাজির ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিবিআইয়ের প্রাক্তন কর্তা উপেন বিশ্বাসও (Upen Biswas)। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)  এদিন চন্দন মণ্ডলের থেকে জানতে চান, সিবিআই তাঁকে ডেকেছে কি না। জবাবে চন্দন জানান, দুই বার ডেকেছে সিবিআই, আজ ইডি বাড়িতে গিয়েছে। পাশাপাশি উপেন বিশ্বাসকেও বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তিনি চন্দন মণ্ডলকে চেনেন কি না। জবাবে প্রাক্তন সিবিআই কর্তা জানান, সামনা সামনি কখনও তাঁর সঙ্গে চন্দনের দেখা হয়নি।

শুক্রবার প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস মুখবন্ধ খামে কিছু তথ্য তুলে দেন আদালতের কাছে। তবে সেগুলিতে কী রয়েছে, সেই বিষয়টি বলতে চাননি তিনি। উপেন বিশ্বাসের নোটের উপর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন আদালতে বলেন, “খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য এ দিন উপেন বিশ্বাস দিয়েছেন। সেগুলি সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত আছে। এই নোটের উপর সিবিআই তদন্ত করবে।”

এরপরই ‘রঞ্জন’ ওরফে চন্দন মণ্ডলের উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আপনার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ জানেন? আপনি চাকরি দিয়েছেন টাকা নিয়ে।” সেই অভিযোগের কথা অবশ্য আদালতে অস্বীকার করেছেন চন্দন মণ্ডল। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে ‘রঞ্জন’ বলেন, “একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে শুনেছি। তবে কারও কাছ থেকে টাকা নিইনি। চাকরিও দিইনি।” সিবিআইয়ের তরফেও আদালতে জানানো হয়, এখনও পর্যন্ত চন্দন ওরফে ‘রঞ্জন’ সহযোগিতা করেছে তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে।

উপেন বিশ্বাস শুক্রবার আদালতে বলেন, “একটা দিন স্থির করতে হবে। সেদিন জয়েন্ট ডিরেক্টর সিবিআই থাকবেন। তিনি মুখবন্ধ খামে তথ্য জমা দেবেন। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে আদালত স্পষ্ট ধারণা পাবে। পাশাপাশি একজন সিবিআই-এর রিটেনার আইনজীবীকে থাকতে হবে।”

Next Article