কলকাতা: ববিতা সরকারের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) একক বেঞ্চ। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে যে তথ্য আদালতে জমা দেওয়া হয়েছিল এবং বাকি সব তথ্য খতিয়ে দেখে ববিতা সরকারের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিল আদালত। ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর কম ছিল। ফলে সব দিক বিবেচনা করে ববিতার চাকরি বাতিল করার জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মামলাকারী অনামিকা রায়কে চাকরি দেওয়ার জন্য। আদালতের মন্তব্য, অনামিকাকে আর বেশিদিন ভোগানো উচিত নয়। তিন সপ্তাহের মধ্যে অনামিকাকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাড়ি থেকে ২০ কিলোমিটারের মধ্যে স্কুল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কলকাতা হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে, ববিতার কাছে জমা থাকা ১৫ লাখ টাকা রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ১৯ মে জমা দিতে হবে। তবে ববিতার আর্জি ছিল, এসএসসি একবারও তাঁকে জানায়নি এটি ভুল ছিল। টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তাঁর কিছুটা সময় লাগবে বলেও জানান ববিতা। আদালতে ববিতা জানান, ১১ লাখ টাকা তিনি আজই জমা দিতে পারবেন। কিন্তু বাকি টাকার জন্য আদালতের কাছে তিন মাস সময় চান তিনি। সেক্ষেত্রে আদালত বাকি টাকা ৫ জুনের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত আরও জানিয়েছে ববিতা চাকরি পাওয়ার যে অর্জিত কয়েক মাসের বেতন ফেরত দিতে হবে না অনামিকাকে।
তবে ববিতা একাদশ-দ্বাদশ পরীক্ষায় বসতে পারবে। ২০১৬ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় ববিতা প্রথম যোগ্য প্রার্থী ছিলেন। কমিশন তাঁর বিষয়টি বিবেচনা করবে। গোটা ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন আদালতে ববিতা আর্জি করেন, কোনওভাবেই কি তাঁর কথা ভাবা যায় না? ববিতার আর্জিতে বিচারপতি জানান, মামলায় ববিতার ভুল স্পষ্ট। চাইলে তাঁকে শাস্তি দিতে পারত আদালত। সেটা হয়নি, সেটুকু স্বস্তি নিয়ে হাইকোর্ট থেকে যান।