কলকাতা: ২০২২ সালের প্রাথমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে মূল প্যানেলের পাশাপাশি আরও একটি মেধাতালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ হাইকোর্টের। এই পরীক্ষার্থীরা বিএড এবং ডিএলএড উভয়ই পাশ করেছেন। কিন্তু বিএড-এর নম্বর বেশি থাকার কারণে, পরীক্ষার আবেদন করার সময় সেটির কথাই উল্লেখ করেছিলেন তাঁরা। এমন দশ জন পরীক্ষার্থীর আলাদা করে মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চ। বিচারপতির নির্দেশ, পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে দেখা হবে এই দশ জন প্যানেলে সুযোগ পান কি না।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, প্রাথমিকের শিক্ষকতা করতে গেলে ডিএলএড পাশ করা হতে হবে। সেই মতো বিএড পাশরা বাদ পড়ে যান। এদিকে গত ৩১ জানুয়ারিই পর্ষদের তরফে মেরিট লিস্ট প্রকাশ করা হয়। বিএড-এর বিষয়ে উল্লেখ থাকার কারণে সেই মেধাতালিকা থেকে বাদ পড়ে যান সুমন্ত কোলে-সহ দশ জন পরীক্ষার্থী। এরপরই বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন সুমন্ত কোলে-সহ ওই দশ জন পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবারই তাঁরা মামলা দায়েরের জন্য আবেদন জানান হাইকোর্টে। সেই মতো মামলা দায়েরের অনুমতি দেয় আদালত এবং শুক্রবার মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে।
মামলার শুনানির সময় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানিয়ে দিয়েছেন, সুমন্ত কোলে-সহ দশ জন পরীক্ষার্থীর জন্য আলাদা একটি মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। বিচারপতির মন্তব্য, ‘একজন সফলকে এভাবে বাদ দিলে অনেকটা রূঢ় হয়ে যাবে।’ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার আরও পর্যবেক্ষণ, ‘মামলাকারীরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর বোর্ডের তাঁদের নাম বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত রূঢ়।’