Calcutta High Court: বছর শেষের আগেই হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি পাবেন শতাধিক
SSC Case: বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওয়েটিং লিস্টের অপেক্ষমান চাকরিপ্রার্থীদের কাউন্সেলিং করতে হবে এবং ২৯ ডিসেম্বরের মধ্য়ে তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে হবে।

কলকাতা: এসএসসি (SSC) নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ১০০-র বেশি শূন্যপদ দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালতের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন ওয়েটিং লিস্ট থেকে কাউন্সেলিং করে এই নিয়োগ করতে হবে। এর জন্য নির্দিষ্ট সময়ও বেঁধে দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওয়েটিং লিস্টের অপেক্ষমান চাকরিপ্রার্থীদের কাউন্সেলিং করতে হবে এবং ২৯ ডিসেম্বরের মধ্য়ে তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে হবে।
উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে ইতিমধ্যেই ব্যতিক্রমী নিয়োগ সুপারিশের ১৮৩ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। কমিশনের তরফে আদালতে জানানো হয়, তাদের মধ্যে ১০২ জন চাকরিতে যোগ দেননি। এদিকে বাকি যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৮০ জনকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব শুরু করে করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমন অবস্থায় আদালতের নির্দেশ, যে ১০২টি পদ শূন্য পড়ে রয়েছে, সেগুলিতে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। আর এই নিয়োগ দিতে ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের কাউন্সেলিং করে।
পাশাপাশি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলায় অপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকেও যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের সন্দেহ, এই মামলায় আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকতে পারে। সেই কারণেই এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে ১৮৩ জনের ব্যতিক্রমী সুপারিশের তালিকা প্রকাশ করেছিল কমিশন।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশে এর আগেও বহু চাকরিপ্রার্থী নিয়োগ পেয়েছেন। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিকেও শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পুজোর আগে হাইকোর্টের সেই নির্দেশে হাসি ফুটেছিল বহু চাকরিপ্রার্থীর মুখে। একাধিক দফায় পৃথক পৃথক মামলায় চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এবার এসএসসির নবম-দশম নিয়োগের ক্ষেত্রেও শতাধিক চাকরিপ্রার্থীর মুখে হাসি ফুটল। নতুন বছর পড়ার আগেই নিয়োগপত্র হাতে পাবেন এসএসসির নবম-দশম শ্রেণির অপেক্ষমান তালিকার চাকরিপ্রার্থীরা।
